পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર শিখ ইতিহাস জন্য প্রসিদ্ধ। এই প্রদেশস্থ স্বল্পপরিসর ভূমিখণ্ডে উৎকৃষ্ট গম এবং যব প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। এই উচ্চ প্রান্তর হইতে মধ্যাহ্নেও নক্ষত্র দৃষ্টিগোচর হয় ; অধিকন্তু এ স্থানের মৃদু বাতাসে কচিৎ বজ্ৰ-নিৰ্ঘোষ-ধ্বনি শ্রত কর্ণ বিদীর্ণ হয়। তিব্বত দেশের শীত এবং বায়ুচালিত হিমানী অপেক্ষ, মূলতানের উত্তাপ ও ধূলিধ্বজ ( dust storm ) অধিকতর অসহনীয়। নগরট নদীর তীরে রমণীয় স্থানে অবস্থিত বলিয়া রেশমজাত পণ্যাদি এবং গালিচার ব্যবসায়ের সম্পূর্ণ উপযোগী। অদূরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনী বর্তমান থাকায় এই স্থানে ও চুর পরিমানে গম, নীল এবং কাপাস জন্মিয় থাকে। হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশস্থ নিম্নভূমি সময়ে সময়ে বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়। কিন্তু ১। সিন্ধু নদের প্রধান শাখা এবং সাজুকের (Shajuk ) মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ পতিত ভূমিখণ্ডে শালের উপযোগী অতি উৎকৃষ্ট শাল-পশম প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। শতদ্রু নদীর উপত্যক্ষ হইতে লুধিয়ান ও দিল্লী পর্যন্ত বিস্তৃত ভূমিখণ্ডে ১•••••• টাকা, অথবা ১০,••• পাউও মূল্যের ঐরূপ পশম উৎপন্ন হইতে দখা গিয়াছে (১৮৪৪ সালের বঙ্গদেশীয় ‘এসিয়াটিক সোসাইটার' সমাচার পত্র, ২১• পৃঃ—"Journal, Asiatic scciety of Tengai for 1844. p. 21 () : ital +fal of ata: cú, একমাত্র কাশ্মীরেই প্রায় ৭e,• • • পাউও মূল্যের পশম আমদানী হইয়াছে। (ভ্রমণ বৃত্তাস্ত, দ্বিতীয় ভাগ, ১•e পৃঃ—"Travels", ii p. 115) । এইরূপে শতদ্রর প্রাস্তবতী দেশসমূহে শাল-গশমের ব্যবসায় সমগ্র দেশব্যাপী ব্যবসায়ের নুনাধিক দশমাংশ মাত্র। মুরত্রফট তিব্বত দেশের যব ও গমের চাষের প্রশংসা করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি তিব্বত দেশে যব শস্তের যে উৎকৃষ্ট জমি দেখিয়াছিলেন, সেরূপ অতুলনীয় স্তক্ষেত্র বুত্রাপি তাহার নয়নপথে পতিত হয় নাই। তিনি আরও বলিয়াছেন যে, একজন ইংরেজ কৃষক বহুদূর ভ্রমণ করিয়াও এরূপ নয়নতৃপ্তকর যবগম-ক্ষত্র কোথাও দেখিতে পায় কিনা সন্দেহস্থল। ("Travels",209, 280 :-"ভ্রমণ বৃত্তাস্ত', ২৬৯, ২৮• পৃঃ । ) তিব্বতের উত্তরবর্তী অমুর্বর ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তর ও উপলখও এবং বালুকারাশির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণরেণু পাওয়া যায় ; কিন্তু হ্রদ সমূহে যে ব্যবসায়োপযোগী কাচা সোহাগা পাওয়া যায়, তাহার মুল্য, বহুমূল্য ধাতু অপেক্ষাও অত্যন্ত অধিক। ইয়ারথন্সে 'চরস' নামে এক অত্যুৎকৃষ্ট মাদক দ্রব্য পাওয়া যায় ; ভারতবর্ষে ইহার প্রচুর কাটতি। তখন অহিফেন হিমালয়ের পর পারেও রপ্তানি হইত, এবং হিন্দু ও চীন দেশীয় ব্যবসায়িং,ণ এই দুই বিষডুল্য পণ্যের পরস্পর বিনিময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করিত। তিব্বতের মধ্য দিয়া কাশ্মীর এবং কাবুল পর্যন্ত, চা-ব্যবসায় প্রচলিত ছিল ; তখন তত্ৰত্য স্থানেই ইহার উপযোগিতা উপলব্ধি হইত। আট পাউণ্ড ওজনের ‘চার’ বাণ্ডিল (block) গুণানুসারে ১২ ও ১৬ শিলিং হইতে ৩৬ ও ৪৮ শিলিং মূল্যে বিক্রীত হইত (Moorcroft "Travels', 350 and 351 —মুরুত্ৰফটের ভ্রমণ বৃত্তান্ত, ৩e • ও ৩৪১ পৃঃ । ) ২। মূলতানের গম’ শীৰ্যপুস্ত ; ইহার শস্ত (শাস) দীর্ঘ ও গুরুভার। এই শস্ত রাজপুতানায় এবং ব্রিটিশ অধিকারের সময় হইতে সিন্ধুদেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হইত। মূলতানের শিল্পজাত কার্পেটের বাৰ্ষিক মুস্তুষ্টিসম্ভবতঃ ৫০,••• পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক নহে। রেশমজাত দ্রব্যাদির মূল্য কাপেটের পাঁচগুণ অধিক ; অথবা, ভাওয়ালপুরের শিল্পজাত দ্রব্যাদির মূল্য সমেত সর্বশুদ্ধ ••••••• চারি দক্ষ টাকা। কিন্তু সিন্ধুদেশের একটী রাজবংশ বিতাড়িত হওয়ার সময় হইতে, শিল্পজাত বস্ত্রাদির আমদানী ৰে প্রচুর পরিমাণে কমিয়াছে—তাহা স্পষ্টই বুঝা যায়। বঙ্গদেশজাত রেশম অপেক্ষা শক্ত, উজ্জ্বল এবং ಫ಼ বলিয়া, তৎপরিবর্তে আজকাল, বোখারার উর্ণা-তত্ত্ব (অপরিষ্কৃত রেশম) ব্যবহৃত १ींहक ।