পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ф е শিখ-ইতিহাস নাই।" হিন্দুগণ গো-জাতির পুজা করেন এবং মুসলমানগণ শূকরের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। দুইটি পরস্পর বিরুদ্ধভাৰাক্রান্ত বিষয়ের আলোচনার সময়ে নানক বিজ্ঞতার ও সমদৰ্শিতার পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে হয় ত নানক শিক্ষাজনিত কুসংস্কার ও স্বাভাবিক নম্রতার কতকটা প্রশ্রয় দিয়াছিলেন । তিনি বলিতেন,— 'বিধৰ্মীদিগের দুইটি অধিকার। এক শ্রেণীর—গোজাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন; অন্য শ্রেণীর-শূকর জাতির প্রতি জাত-ক্রোধ। কিন্তু যাহার কোন জীবন্ত প্রাণীর প্রাণহাণি করে না, গুরু এবং পণ্ডিতগণ তাহাদিগকেই প্রশংসা করিয়া থাকেন '** এইরূপ নানক, বহুকাল-প্রচলিত পুঞ্জীকৃত কুসংস্কার এবং কুরীতি হইতে র্তাহার শিন্যদিগকে মুক্ত করিয়াছিলেন। চিত্তের একাগ্রতা এবং স্বাভাবিক আচার-ব্যবহারের ঔৎকর্ষসাধনই শ্রেষ্ঠ ও প্রথম কর্তব্য রূপে নির্দিষ্ট হইয়াছিল। তিনি শিন্যদিগকে সাহস এবং স্বাধীনতা প্রদান করেন ; তাহাদিগের মনের সন্দেহ ভঞ্জন হয়। পরন্তু নানক কোন নির্দিষ্ট নিয়ম প্রবর্তিত করিয়া শিন্যদিগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন নাই। এইরূপে সর্ববিষয়ে স্বাধীনত প্রাপ্ত হওয়ায়, দৃঢ়বিশ্বাসী উপাসকের দল ক্রমশঃ পরিপুষ্ট হইতে থাকে ; একটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায় গঠিত হয় ; নানকের সংস্কার-নীতির সাক্ষাৎ-ফলস্বরূপ ধমবিষয়ক ও নৈতিক উন্নতি সাধিত হইতে থাকে। ধম বিশ্বাসীগণ, ‘শিখ অথবা শিন্য নামে অভিহিত হইত ; es ‘Adee Grunt'h' particularly the “Assa Raginee' and *Ramkullee' Raginee ( Compare the Dabistan, ii. 271 ) :-‘aff-ottva’ sin affitt 44: Atqșt:N Rifið বিশেষরূপ দ্রষ্টব্য। e o l Atfalw, 'artą wąstų (Adee Grunt’h, Majh chapter) i UfFFFtRE HİPŘssz, ৩৬ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য (note and Page 137) এস্থলে বর্ণিত আছে যে, নানক শূকরের মাংস ভক্ষণ করিতে নিষেধ করেন। কিন্তু প্রকৃত-প্রস্তাবে হিন্দুদিগের পক্ষে গৃহপালিত শূকর-ছানার মাংস সকল সময়েই affëçí-af-fae I ( Munnoo's Institutes', v. 19) 'qùafta' ( Dabistan. ii. 28 ) fèfèR; আছে, নানক মাদক দ্রব্য (মদ্য) এবং শূকরের মাংস খাইতে নিষেধ করেন। বস্তুত:, খাদ্য নির্দেশ সম্বন্ধে বিপরীত মতব্যঞ্জক অনেক দৃষ্টান্ত দেখান যাইতে পারে। ওয়ার্ড (ward "On the Hindoos, iii. 466) সপ্রমাণ করিয়াছেন, যাহারা মাংস ভক্ষণ করে, নানক তাহাদিগকে নির্দোষী বলিয়াছেন। নানক আরও বলিয়াছেন, যে শিশু মাতৃস্তন্ত পান করে, সে শিশু কাজে কাজেই মাংস ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিয়া থাকে। 'গুর রত্নাবলীগ্রন্থ' ( 'Goor Ratnaolee' ) রচয়িতাও সেই মত কিয়ৎপরিমাণ অনুসরণ করিয়াছিলেন-মনুন্য স্ত্রীলোক বিবাহ করে না কি ? ধৰ্মপুস্তক পশু-চর্মে বন্ধন হয় না কি !" কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পণ্ডিতগণ সময়ে সময়ে নানকের সাধারণ নিয়মগুলির অযথা ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তাহাঁদের এইরূপ ব্যাখ্যায় ব্যবহারিকভাবে পশু-জীবনরক্ষার বিষগুরুঝা যায়। ( wilson, As. Res, xvii. 233 ) কিন্তু শিখদিগের এইরূপ কোন মনোভাব বুঝা যায় না। জৈন ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ মাছি ও পিপীলিকা প্রভৃতি সম্বন্ধে এত অধিক সাবধান যে, এইরূপ প্রথা দৃঢ়ৰূপে অবলম্বন করার তাহাদিগকে সকলেই উপহাস করিয়া থাকে। ভারতবর্ষের কতকগুলি রোমান ক্যাথেলিক খৃষ্টান সম্প্রদায়ও এই নীতি অবলম্বন করিয়াছেন। ভূপালের ‘ক্যাথলিক সম্প্রদায়গুলি, "লেন্টের সময় (চল্লিশ দিনের উপবাস-পর্ব ) নিত্য-ব্যবহার্ধ অপরিস্কৃত শর্কর ব্যবহার করেন না ; কেননা, চিনি প্রস্তুত হওয়ার সময় বহু প্রাণীর প্রাণ নষ্ট হইয়া থাকে।