পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
শি বা জী

কাঁপিতে লাগিল। মুঘল-সেনাপতি দুইজন (বাহাদুর ও দিলির) যুদ্ধে বিফল হইয়া লজ্জায় মাথা হেঁট করিয়া নিজ সীমানায় আহমদনগরে ফিরিয়া আসিলেন। পুণা ও নাসিক জেলা (অর্থাৎ মারাঠাদের দেশ) আঁচিল।

 এদিকে মার্চ্চ মাসে স্ৎনামী বিদ্রোহ এবং এপ্রিল মাসে খাইবার গিরিসঙ্কটের পাঠানদের সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ায় আওয়ংজীব এত বিব্রত হইলেন যে কিছুদিন ধরিয়া দক্ষিণে আর সৈন্য ও টাকা পাঠান অসম্ভব হইল। জুন মাসে (১৬৭২) শাহজাদা মুয়জ্জমের স্থানে বাহাদুর খাঁ দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত হইলেন। কুমার ও মহাবৎ খাঁ দুজনেরই উত্তর-ভারতে ডাক পড়িল।

কোলী-দেশ অধিকার

 তাহার পর শিবাজীর জয়জয়কার। সুরত হইতে দক্ষিণে বম্বের দিকে আসিতে যে পাহাড় ও জঙ্গলপূর্ণ দেশ পার হইতে হয়, তাহাতে কোলী নামক অসভ্য দস্যুজাতির বাস। সে সময় এখানে ইহাদের দুইটি ছোট রাজ্য ছিল;—ধরমপুর (রাজধানী রামনগর, বর্ত্তমান নাম ‘নগর’, সুরতের ৬০ মাইল দক্ষিণে) এবং জওহার (রামনগরের ৪০ মাইল দক্ষিণে)। এই রামনগরের ঠিক পূর্ব্বদিকে সহ্যাদ্রি পর্ব্বতশ্রেণী পার হইলে নাসিক জেলা বা উত্তর-মহারাষ্ট্র। ১৬৭২ সালের ৫ই জুন পেশোয় মোরো ত্রম্ব্যক জওহার অধিকার করিলেন। সেখানকার রাজা বিক্রম শাহ মুঘল-রাজ্যে পলাইয়া গেলেন। ইহার অল্পদিন পরে রাম নগরও দখল করা হইল, তাহার রাজা সোমসিংহ পোর্তুগীজ শহর দামনে আশ্রয় লইলেন।

 মারাঠারা এত কাছে স্থায়ী আড্ডা গাড়াতে সুরত শহর জমে কাঁপিতে লাগিল। রামনগরে বসিয়া পেশোয়া সুরতের শাসনকর্ত্তা ও