পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
শি বা জী

তেলিঙ্গানায় প্রবেশ করিয়া রামগির জেলা লুঠ করিতে লাগিল। মুঘলসেনাপতি বাহাদুর খাঁ কিছুতেই তাহাদের ধরিতে পারিলেন না। তাহারা দ্রুতগতি নিজদেশে ফিরিয়া আসিল, কিন্তু মুঘলেরা পিছু পিছু থাকিয়া তাহাদের হাত হইতে অনেক লুঠ করা ঘোড়া ও বণিকদের মাল উদ্ধার করিল। আওরঙ্গাবাদের কাছে একটি ছোট মুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হইল। ফলতঃ তাহাদের এবারকার বেরার-আক্রমণ প্রায় সম্পূর্ণ নিষ্ফল হইল।

বিজাপুরে সহিত শিবাজীর সন্ধিভঙ্গ

 পর বৎসর (১৬৭৩) মহারাষ্ট্রে তেমন কোন বড় যুদ্ধ বা বিশেষ লাভ-লোকসান হইল না। সুবাদার বাহাদুর খাঁ ভীমা নদীর তীরে পেড়গাঁও-এ শিবির স্থাপন করিয়া পথঘাটের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখিতে লাগিলেন।

 এই বৎসর শিবাজী নিজ জন্মস্থান শিবনের-দুর্গ অধিকার করিবার এক চেষ্টা করেন। আওরংজীব এই দুর্গটি আবদুল আজিজ খাঁ নামক একজন ব্রাহ্মণ মুসলমানের জিম্মায় রাখিয়াছিলেন। সেই লোকটি যেমন বিশ্বাসী তেমনি চতুর ও কার্য্যদক্ষ। শিবাজী তাহাকে “পর্ব্বতপ্রমান টাকার স্তূপ” দিতে চাহিলেন, আর সেও সম্মতির ভাণ করিয়া একটা নির্দ্দিষ্ট রাত্রে দুর্গ ছাড়িয়া দিবে বলিয়া স্বীকার করিল। সেই রাত্রে শিবাজীর সাত হাজার সৈন্য দুর্গের কাছে পৌঁছিলি। কিন্তু আবদুল আজিজ ইতিমধ্যে বাহাদুর খাঁকে গোপনে খবর দিয়াছিল। মারাঠা আসিয়া ফাঁদে পড়িল। তাহাদের অনেকে মরিল, অনেকে জখম হইল, বাকী সকলে হতাশ হইয়া ফিরিয়া গেল।

 কিন্তু অন্যদিকে শিবাজীর এক মহাযোগের পথ খুলিয়া গিয়াছিল। ২৪এ নবেম্বর (১৬৭২) বিজাপুরের রাজা দ্বিতীয় আদিল শাহ