পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজ্যাভিষেক
১৩৩

অগ্রসর হইয়া রাজাকে আশীর্বাদ করিলেন। শিবাজীর মাথার উপর রাজছত্র ধরা হইল। তিনি সকলকে গণনাতীত ধন দিলেন। “দানপদ্ধতিঅনুযায়ী ঘোড়শ মহাদান ইত্যাদি দানগুলি সম্পন্ন করিলেন।” সিংহাসনের আট কোণে অষ্টপ্রধান অর্থাৎ মন্ত্রিগণ দাঁড়াইয়া ছিলেন; তাদের পদের পারসিক ভাষার নাম বদলাইয়া সংস্কৃত নাম দেওয়া হইল,—যেমন পেশোয়ার বদলে “মুখ্যপ্রধান”। শিবাজীর উপাধি হইল—“ছত্রপতি”। সেইদিন হইতে “রাজ্যাভিষেক শক” নামে এক নূতন বৎসর গণনা শুরু করা হইল; ইহাই পরে সমস্ত মারাঠা সরকারী কাগজ পত্রে ব্যবহৃত হইত।

 সিংহাসন অপেক্ষা কিছু নীচু তিনটি আসনে যুবরাজ শম্ভঙ্গী, গাগা ভট্ট ও পেশোয়া মোবেশ্বর ত্র‍্যম্বক পিঙ্গলে বসিনে। বাকী মন্ত্রীরা দুই লাইন করিয়া সিংহাসনের দুই পাশে দাঁড়াইয়া রহিলেন; তাহাদের পশ্চাতে কায়স্থ “লেখক” নীল প্রভু (পারসনিস) এবং বাবা অবজী। (চিটনিস) স্থান পাইলেন। অন্যান্য দরবারীরা যথাক্রমে আরও দূরে দাঁড়াইল।

 এই সব কাজে বেলা আটটা হইয়া গেল। তখন ইংরাজ-দুত হেনরি স্মকসিগুেনকে নিয়াজী রাবজী (শিবাজার ন্যায়াধীশ) সিংহাসনের সামনে লইয়া গেলেন। দূত মাথা নত করিলেন, আর তাহার দোভাষী নারায়ণ শেনবী ইংরাজ কোম্পানীর উপহার একটি হীরার আংটি উচু করিয়া ধরিয়া শিবাজীকে দেখাইলেন। রাজা তাহাদের আরও কাছে ডাকিয়া খেলাৎ পরাইয়া বিদায় দিলেন।

রায়গড়ে শোভাযাত্রা

 সর্বশেষে হাতীতে চড়িয়া শিবাজী সদলবলে রায়গড়ের রাস্তা বাহিয়া শোভাযাত্রা করিয়া চলিলেন। আগে দুই হাতীর উপর দুই রাজ