পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজ্যাভিষেক
১৩৫

আবার যুদ্ধ আরম্ভ হইল

 অভিষেকের ধূমধামে শিবাজীর রাজভাণ্ডার প্রায় খালি হইয়া গিয়াছিল। তাই তাঁহাকে আবার লুঠ করিতে বাহির হইতে হইল। ইহার ঠিক এক মাস পবেই, অর্থাৎ জুলাই-এর মাঝামাঝি, একদল মারাঠা অশ্বারোহী দূরে একটি স্থান আক্রমণ করিবে এরূপ ভাব দেখানতে, মুঘল সুবাদার বাহাদুর খাঁ পেড়গাঁও-এ নিজ শিবির রাখিয়া সৈন্যসহ পঞ্চাশ মাইল দূরে উহাদের বাধা দিতে গেলেন। আর সেই অবসরে অপর একদল সাত হাজার মারাঠা-সৈন্য অন্যপথ দিয়া দ্রুত আসিয়া হঠাৎ আক্রমণ করিয়া, পেড়গাঁও-এর অরক্ষিত মুঘল-শিবির অবাধে লুঠ করিয়া এক কোটি টাকা এবং দুই শত ভাল ভাল বাদশাহী ঘোডা লইয়া শিবিরে আগুন ধরাইয়া দিয়া চম্পট দিল। শীতকাল আসিলে মারাঠারা কয়েক মাস ধরিয়া কোলী-দেশ, অরঙ্গাবাদ, বগলানা ও খাদেশ লুঠ করিয়া বেড়াইল; জানুয়ারি ১৬৭৫-এর শেষে কোলাপুর হইতে সাডে সাত হাজার টাকা আদায় করিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মুঘলেরা কল্যাণ শহর পুড়াইয়া দিয়া চলিয়া গেল।

মুঘল, বিজাপুর ও শিবাজী

 ১৬৭৫ সালের মার্চ হইতে মে—এই কয়মাস ধরিয়া শিবাজী আবার মুঘল বাদশাহর বশ্যতা স্বীকার করিতে ইচ্ছুক এইরূপ ভাণ করিয়া সন্ধির আলোচনায় সুবাদার বাহাদুর খাকে ভুলাইয়া রাখিলেন, এবং সেই অবসরে কোলাপুর (মার্চ, এবং বিখ্যাত ফোণ্ডা দুর্গ (জুলাই মাসে) অধিকার করিলেন। তাহার পর কার্য্য সিদ্ধি হওয়ায় বাহাদুর খাঁর দুতকে অপমান করিয়া তাড়াইয়া দিলেন।


    পাঁচ লক্ষ টাকা) নগদ এবং হাতী ঘোড় বস্ত্র অলঙ্কার বখশীষ পাইয়াছিলেন। গাগা ভট্টকে “অপরিমিত দ্রব্য” দেওয়া হইল, ইত্যাদি।