পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় অধ্যায়

শিবাজীর অভ্যুদয়

ভোঁশলে বংশ

শিবাজীর অভ্যুদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আধুনিক মারাঠাদের জাতীয় জীবন-প্রভাত। তিনিই দেশের শক্তিহীন, খ্যাতিহীন বিক্ষিপ্ত মানুষগুলিকে একত্র করিয়া, শক্তি দিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে গাঁথিয়া, হিন্দুর ইতিহাসে এক নবীন সৃষ্টি রচনা করেন। এটি যে তাঁহার ব্যক্তিগত কীর্ত্তি তাহার প্রমাণ পাই—যখন আমরা তাঁহার আদি-পুরুষদের ইতিহাস এবং তাঁহার পৈত্রিক পুঁজিপাটা খুঁজিয়া দেখি। বিশাল বেগবতী স্রোতস্বতীর মত তাঁহার উদ্ভব অতি ক্ষুদ্র স্থান হইতে, প্রায় অজ্ঞাত তমসাচ্ছন্ন।

 মারাঠা নামক জাতের যে শাখায় শিবাজীর জন্ম, তাহার উপাধি “ভোঁশলে”। এই ভোঁশলে পরিবার দাক্ষিণাত্যে অনেকস্থলে ছড়াইয়া আছে, কিন্তু তাহারা রাজপুতদের বংশশাখার মত এক রক্তের টানে বাঁধা ছিল না, অথবা কোনো একজন দলপতির আজ্ঞায় চালিত হইত না। প্রত্যেকে নিজ নিজ পরিবার লইয়া নিজ গ্রামে থাকিত, কোন সাধারণ গোষ্ঠীপতিকে মানিত না, বা জাতের মিলনে কখনও সমবেত হইত না। জমি-চাষ ও পশুপালনই তাহাদের জাতিগত ব্যবসা ছিল, যদিও মারাঠা জাতের দুই-চারিজন ধনী ও ক্ষমতাশালী প্রধান