পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৮
শিবাজী

পশ্চিমে অখনীতে পৌছিলেন। তিনি এই প্রকাণ্ড ধনজনপূর্ণ বাজার লুঠ করিয়া পুড়াইয়া দিয়া স্থানীয় অধিবাসীদের ক্রীতদাস করিতে চাহিলেন (১০ নবেম্বব)। তাহারা সকলেই হিন্দু। শম্ভুজী এই অত্যাচারে বাধা দিলেন, দিলিব তাঁহার নিষেধ শুনিলেন না। সেই রাত্রে শম্ভুজী নিজ স্ত্রীকে পুরুষের বেশ পরাইযা দুজনে ঘোডায় চড়িয়া শুধু দশজন সওযার সঙ্গে লইয়া দিলির খাঁর শিবিব হইতে গোপনে বাহির হইয়া পড়িলেন এব পরদিন বিজাপুব পৌঁছিয়া মাসুদেব আশ্রয় লইলেন। কিন্তু সেখানে থাকা নিরাপদ নয় বুঝিয়া আবার পলাইলেন, এবং পথে পিতার কতকগুলি সৈন্যের দেখা পাইয়া তাহাদের আশ্রয়ে পনহালা পৌঁছিলেন (৪ঠা ডিসেম্বব, ১৬৭৯)।

শিবাজীর জালনা লুঠ ও মহাবিপদ হইতে উদ্ধার

 ইতিমধ্যে শিবাজী ৪ঠা নবেম্বব সেলগুড হইতে বাহির হইয়া মুঘলবাজ্যে ঢুকিলেন, দ্রুতবেগে অগ্রসর হইয়া পথের দুধাবে লুটিয়া পুড়াইয়া দিয়া ছারখার করিযা চলিতে লাগিলেন। প্রায়, এই তিনি জালনা শহর (আওরঙ্গাবাদের ৪০ মাইল পূর্ব্বে) লুঠ করিলেন। কিন্তু এই জনপূর্ণ বাণিজ্যের কেন্দ্রে তেমন ধন পাওয়া গেল না। তখন জানিতে পারিলেন যে জালনার সব মহাজনে নিজ নিজ টাকাকড়ি শহরের বাহিরে সৈয়দ জান্ মহম্মদ নামক মুসলমান সাধুর আশ্রমে লুকাইয়া রাখিয়াছে, কারণ সকলেই জানিত যে শিবাজী সব মন্দির ও মসজিদ, মঠ ও পীরের আস্তানা মান্য করিয়া চলিতেন, তাহাতে হাত দিতেন না। তখন মারাঠা-সৈন্যগণ ঐ আশ্রমে ঢুকিয়া পলাতকদের টাকা কাড়িয়া লইল, কাহাকেও কাহাকেও জখম করিল। সাধু তাঁহার আশ্রমে শান্তি ভঙ্গ করিতে নিষেধ করায় তাহারা তাহাকে গালি দিল, ও মাবিতে উদ্যত হইল। তখন ক্রোধে সেই মহাশক্তিমান পুণ্যাত্মা পুরুষ শিবাজীকে