ঘটনা হইতে শিবাজীর সহিত ইংরাজদের প্রথম ঝগড়া বাধে, কিন্তু তাহা অল্পেই থামিয়া যায়।
ইহার কয়েক মাস পরেই যখন সিদ্দি জৌহর শিবাজীকে পানহালাদুর্গে ঘেরিয়া ফেলেন তখন সেই রেভিংটন এবং আর কয়েকজন ইংরাজ কতকগুলি বেঁটে তোপ (মর্টার) ও বোমার মত গোলা (গ্রেনেড) জৌহরকে বেচিবার জন্য সেখানে গিয়া এই অস্ত্রের বল দেখাইবার উদ্দেশ্যে শিবাজীর দুর্গের উপর কতকগুলি গ্রেনেড ছুড়িলেন। শিবাজী লক্ষ্য করিলেন যে ইংরাজ-পতাকার নীচু হইতে একদল সাহেব এই-সব গোলা মারিতেছে।
রাজাপুরের ইংরাজ কুঠী লুণ্ঠন
বিদেশী বণিকদের এই অকারণ শত্রুতার শাস্তি পর বৎসর মিলিল। ১৬৬১ সালের মার্চ্চ মাসে শিবাজী রত্নগিরি জেলা দখল করিতে করিতে রাজাপুর পৌঁছিয়া ইংরাজ কুঠীয়ালদিগকে বন্দী করিয়া লইয়া গেলেন, কুঠি লুঠ ও ছারখার করিবার পর তাহার মেঝে খুড়িয়া দেখিলেন যে টাকা লুকান আছে কিনা। ফলতঃ রাজাপুরে ইংরাজ বাণিজ্য একেবারে ধ্বংস পাইল। অনেক টাকা না দিলে ছাড়িয়া দিব না—এই বলিয়া সেই চারিজন ইংরাজ-বন্দীকে দুই বৎসর ধরিয়া নানা পার্বত্য-দুর্গে আটকাইয়া রাখিলেন।
কোম্পানীর কর্তারা বলিলেন যে, যখন রেভিংটন প্রভৃতি কর্মচারীরা নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য শিবাজীর শত্রুতা করিয়া এই বিপদ ডাকিয়া আনিয়াছে, তখন কোম্পানী টাকা দিয়া তাহাদের খালাস করিতে বাধ্য নহে। অবশেষে অনেক কষ্ট সহ্য করিবার পর তাহারা ৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৬৬৩ এমনি ছাড়া পাইল।
তাহার পর কোম্পানী রাজাপুরের কুঠি লুঠ ও ধ্বংস করার জন্য