অকসিণ্ডেন উপস্থিত হইয়া এই তিন শর্তে মিটমাট করিয়া এক সন্ধিপত্র সহি মোহর করাইয়া লইলেন:
(১) শিবাজী ক্ষতিপূরণ বাবদে ইংরাজদের চল্লিশ হাজার টাকা দিবেন। ইহার এক-তৃতীয়াংশ নগদ টাকা ও দ্রব্য (যেমন সুপারি) দিয়া শিবাজীর মৃত্যুর পূর্ব্বে শোধ হয়।
(২) তাহাব রাজ্যে ইংরাজ-কুঠীগুলি রক্ষা করিবেন। তদনুসারে ১৬৭৫ সালে রাজাপুরে ইংবাজেরা আবার কুঠী খোলেন।
(৩) তাহার রাজ্যের কূলে ঝড়ে কোন জাহাজ আসিয়া অচল হইয়া পডিলে অথবা ভগ্ন জাহাজের ভাসা মালগুলি পৌঁছিলে, নিজে জবৎ না করিয়া মালিককে ফিরাইয়া দিবেন।
কিন্তু শিবাজী ইংরাজদের চতুর্থ প্রার্থনা, অর্থাৎ তাহার রাজ্যে ইংরাজদের মুদ্রা প্রচলিত করিতে, কিছুতেই রাজি হইলেন না।
শিবাজীর সহিত ইংবাজ-বণিকদের সাক্ষাৎ
রাজাপুরের নূতন কুঠীর সাহেবেরা শিবাজীর সহিত ১৬৭৫ সালে দেখা করিয়া তাহার এই সুন্দর বর্ণনা লিখিয়া গিয়াছেন।
“রাজা২২ মার্চ্চ দুপুরবেলায় এখানে আসেন,সঙ্গে অনেক অশ্বারোহী পদাতিক ও দেড়শত পাল্কী। তাঁহার আগমনের সংবাদ পাইয়াই আমরা তাঁবু হইতে বাহির হইলাম এবং অল্প দূরেই তাঁহাকে পাইলাম। আমাদের দেখিয়া তিনি পাল্কী থামাইলেন এবং কাছে ডাকিয়া জানাইলেন, আমরা যে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছি তাহাতে তিনি খুব খুশী হইয়াছেন, কিন্তু এই রৌদ্রের গরমে আমাদের এখন বেশীক্ষণ রাখিবেন না, বিকালে ডাকিবেন। ***
২৩ মার্চ্চ রাজা আসিলেন এবং পাল্কী থামাইয়া আমাদের কাছে ডাকিলেন। আমরা নিকটে গেলে তিনি হাত দিয়া ইঙ্গিত করিয়া