পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কানাড়ায় মারাঠা-প্রভাব
১৯৩

বিনগুরলা ও কুড়াল) শিবাজীর হাত হইতে উদ্ধার করিল। কানাড়ার উপকুলে করোয়ার প্রভৃতি স্থান দুই পক্ষের দ্বারাই লুঠ হইতে লাগিল।

ফোণ্ডা দুর্গ অধিকার

 গোয়ার পূর্ব্ব-সীমানার নিকট বিজাপুর-রাজ্যের সর্ব্বপ্রধান দুর্গ ফোণ্ডা ১৬৬৬ সালের প্রথম ভাগে শিবাজী একদল সৈন্য পাঠাইয়া ফোণ্ডা অবরোধ করেন, কিন্তু বিজাপুরীদের অরও সৈন্য আসিয়া শিবাজীর লোকদের তাড়াইয়া দিয়া ঐ দুর্গ বাঁচাইল। তাহারা এই অঞ্চলে আরও চারটি দুর্গ শিবাজীর হাত হইতে উদ্ধার করিল। (মার্চ, ১৬৬৬)।

 তার পর সাত বৎসর ধরিয়া শিবাজীর দৃষ্টি এদিকে পড়ে নাই। ১৬৭৩ সালের এপ্রিল মাসে তাঁহার সৈন্যরা কানাড়ার অধিত্যকায় ঢুকিয়া অনেক নগর ও দুর্গ লুঠিল। তাহার সেনাপতি প্রতাপ রাও হুবলীর ইংরাজ-কুঠী হইতে চল্লিশ হাজার টাকার কোম্পানীর মাল ছাড়া কর্মচারীদের নিজ সম্পত্তিও লইয়া গেল। কিন্তু বিজাপুর হইতে মুজফফর খাঁ চারি হাজার অশ্বারোহী লইয়া আসিয়া পড়ায় মারাঠারা হুবলী ছাড়িয়া পলাইল; তাড়াতাড়িতে তাহারা রাস্তায় বস্তা বস্তা লুঠের মাল ফেলিয়া দিয়া গেল।

 এই বৎসর বিজয়া দশমীর দিন (১০ই অক্টোবর ১৬৭৩) শিবাজী পঁচিশ হাজার সৈন্য লইয়া দেশ-জয়ে বাহির হইলেন; সঙ্গে বিশ হাজার বড় বড় থলিয়া লইলেন, তাহাতে লুঠের জিনিষ ভরিয়া আনা হইবে। এই অভিযানে তিনি কানাড়া অবধি অগ্রসর হন, কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বহলাল ও শর্জা খাঁর নিকট পরাস্ত হইয়া দেশে ফিরিলেন।

 বিজাপুরের দরবারে ক্রমেই গোলমাল ও নৈতিক অবনতি বাড়িতে লাগিল; তাহাতে দুরবর্ত্তী প্রদেশগুলির অত্যন্ত দুরবস্থা হইল, সেগুলি