পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
২১১
শিবাজীর রাজ্য এবং শাসন-প্রণালী
২১১

নাসিক নগরের নিকট গোদাবরী নদীর তীরে পঞ্চবটী দুষ্পাঠ্য বারো বৎস ধরিয়া ধর্ম্মশিক্ষা করিবার পর দুষ্পাঠ্য দীক্ষা লইলেন। মহারাষ্ট্রে লোকে বিশ্বাস দুষ্পাঠ্য তাঁহার আজানুলম্বিত বাহু দুষ্পাঠ্য সাধুগণ বিষ্ণুর অপর অবতার দুষ্পাঠ্য কিন্তু রামদাস দুষ্পাঠ্য কে নিজ ধর্ম্মের উপাস্য দেবতা করেন।

 দীক্ষার পর বারো বৎসর ধরিয়া রামদাস দুষ্পাঠ্য প্রবাদ আছে যে স্বপ্নে রামচন্দ্র আবির্ভূত হইয়া তাঁহাকে বলেন দুষ্পাঠ্য ভক্ত সম্প্রদায় গঠন কর।” দুষ্পাঠ্য শেষ করিয়া ৩৬ বৎসর বয়সে (১৬৪৪) রামদাস জন্মভূমিতে ফিরলেন। দুষ্পাঠ্য গ্রামে বসতি করিয়া সেখানে রাম ও হনুমানের দুটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করিলেন (১৬৪৮)। অসাধারণ দক্ষতার সহিত তিনি অল্পদিনেই “রামদাসা” নামে এক নূতন সম্প্রদায় গড়ীয়া তুলিলেন, তাঁহার অনেক শিষ্য হইল, তাহাদের জন্য মঠ স্থাপিত হইল। এই রূপে দশ বৎসর কাটিয়া গেল।

 তাহার পর আরও দশ বৎসব ধরিয়া তিনি দুষ্পাঠ্যগড় দুর্গের নিকট শিবতর-গ্রামে নির্জ্জনবাস ও চিন্তার ফলে ‘দাস-বোধ” নামক পদ্য-গ্রন্থ (২০ সর্গে) রচনা করিয়া তাহাতে নিজের ধর্ম্ম-উপদেশ লিপিবদ্ধ করিলেন। সংস্কৃত ও প্রাচীন মারাঠী সাহিত্যে তাঁহার পাণ্ডিত্য ছিল, এজন্য গ্রন্থখানি বড়ই উপাদেয় হইয়াছে।

 রামদাসের পুণ্য-প্রভাবে মোহিত হইয়া শিবাজী ‘শ্রীরাম, জয় রাম, জয় জয় রাম” এই মন্ত্রে তাহার নিকট দীক্ষা লইলেন। গুরু তাঁহাকে