পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিবাজীর রাজ্য এবং শাসন-প্রণালী
২১৩

তোমাকে পাঠাইয়াছেন। .. ধর্ম্মসংস্থাপনের জন্য নিজ কীর্ত্তি অমর রাখিও।”

 শিবাজী শেষ-বয়সে রাজকার্য্যে সর্ব্বদা স্বামীর উপদেশ লইতেন। রামদাসের শিক্ষায় ভক্তিযোগ ও কর্ম্মযোগের অনির্ব্বচনীয় সামঞ্জস্য হইয়াছিল। তাঁহার জীবনের দৃষ্টান্ত এবং জটিল রাজনৈতিক সমস্যায় শিবাজীর প্রতি উপদেশ মহারাষ্ট্র-স্বাধীনতার সাধনাকে সিদ্ধির সহজ পথে আনিয়া দেয়। রামদাসের ধর্ম্মশিক্ষাকে ‘ফলিত ভগবদ্গীতা” বলা যাইতে পারে; তাহার শিষ্য গীতার জীবন্ত দৃষ্টান্ত ছিলেন।

রামদাসে রাজনৈতিক উপদেশ

 শিবাজীর পর যুবক শম্ভুজী যখন রাজা হইলেন, তখন বৃদ্ধ রামদাস মৃত্যু আসন্ন বুঝিয়া নূতন রাজাকে অনেক উপদেশ দিয়া পদ্যে এক পত্র লেখেন। তাহাতে আছে—

বহু লোককে একত্র করিবে,
বিচার করিয়া লোক নিযুক্ত করিবে,
শ্রম করিয়া আক্রমণ করিবে
স্নেচ্ছের উপর। ১৪
যাহা আছে তাহার যত্ন করিবে,
পরে আরও [রাজ্য] যোগ করিবে,
মহারাষ্ট্র-রাজ্য [বিস্তার] করিবে
যত্রতত্র। ১৫
লোকদের সাহস দিবে,
বাজি রাখিয়া তরবারি চালাইবে,
‘চড়িয়া বাড়িয়া’ [ক্রমে অধিকতর] খ্যাতি
লাভ করিবে। ১৬