মারিয়া ছিলেন এই অপবাদ দিয়া শম্ভুজী তাঁহার প্রাণবধ করেন। তাঁহার পুত্র রাজারাম।
৩। পুতলা বাঈ (মোহিতের কন্যা); স্বামীর চিতায় প্রাণ বিসর্জ্জন করেন।
৪। সাকোয়াব বাঈ (গাইকোয়াড়দেব কন্যা); বিবাহ ১৬৫৬ সালে। ১৬৮৯ সালে মুঘলেরা রায়গড় অধিকার করিবার পর বন্দী। ইঁহাকে অনেক বৎসর আওরংরজাবের শিবিরে থাকিতে হয়।
৫। কাশী বাঈ। মৃত্যু ১৬৭৪ মার্চ্চ মাসে।
৬ ৭। দুইজন স্ত্রী, ১৬৭৪ সালের মে মাসে শিবাজীর অভিষেকের পূর্ব্বে বৈদিক মন্ত্রসহ ইঁহাদের বিবাহ হয়।
৮। একজন স্ত্রী, ৮ই জুন ১৬৭৪ সালে বিবাহ হয়।
শিবাজীব দুই পুত্র ও তিন কন্যা ছিল, যথা।
১। শম্ভুজী, জন্ম ১৪ই মে ১৬৫৭, সিংহাসনলাভ ২৮ জুন ১৬৮০ আওবংজীব কর্ত্তৃক প্রাণবধ ১১ মার্চ্চ ১৬৮৯।
২। রাজারাম, জন্ম ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৬৭০, সিংহাসন-অধিরোহণ ৮ই ফেব্রুয়ারী ১৬৮৯, মৃত্যু ২ মার্চ্চ ১৭০০।
৩। সখু বাঈ, মহাফজী নিম্বলকরের স্ত্রী।
৪। অম্বিকা বাঈ, হবজী মহাডিকের স্ত্রী।
৫। রাজকুমারী বাঈ, গণোজীরাজ শির্কের স্ত্রী।
শিবাজীর আকৃতি ও ছবি
শিবাজীর বয়স যখন ৩৭ বৎসর তখন (অর্থাৎ ১৬৬৪ সালে) সুরতের জনকত কইংরাজ তাঁহাকে দেখিয়া এইরূপ বর্ণনা লিখিয়াছেন —“তাঁহার দৈর্ঘ্য মাঝামাঝি রকমের, কিন্তু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি বেশ পরিমাণ-সই।