পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ ষ্ঠ অ ধ্যা য়

শিবাজী ও আওরংজীবের সাক্ষাৎ

শিবাজীর আগ্রা যাইবার উদ্দেশ্য

পুরন্দরের সন্ধিতে (জুন ১৬৬৫) শিবাজী এই একটি শর্ত্ত করিয়াছিলেন যে, অন্যান্য করদ রাজার মত তাঁহাকে স্বয়ং গিয়া বাদশাহর দরবারে উপস্থিত থাকিতে হইবে না। তবে দাক্ষিণাত্যে কোন যুদ্ধ বাধিলে তিনি বাদশাহী পক্ষকে সসৈন্য সাহায্য করিবেন। কিন্তু বিজাপুর আক্রমণের পর (জানুয়ারি ১৬৬৬) জয়সিংহ নানা যুক্তি দেখাইয়া শিবাজীকে বুঝাইলেন যে, বাদশাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলে তাঁহার অনেক প্রকার লাভ হইবে। ফন্দিবাজ রাজপুতরা শিবাজীর খুব প্রশংসা করিয়া বলিলেন যে, এরূপ চতুর ও কর্ম্মক্ষম বীরের সঙ্গে আলাপ করিলে তাঁহার গুণে মোহিত হইয়া বাদশাহ হয়ত তাঁহাকে সৈন্য ও অর্থ দিয়া বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা বিজয়ে নিযুক্ত করিবেন, এবং সেই অবসরে শিবাজী নিজামশাহী অর্থাৎ আহমদ-নগরের লুপ্ত রাজ্যের বাকী প্রদেশগুলি দখল করিয়া তাঁহার অধিকার নিষ্কণ্টক ও স্থায়ী করিতে পারিবেন। এ পর্য্যন্ত কোন মুঘল সেনাপতিই বিজাপুরকে কাবু করিতে পারেন নাই, এমন কি স্বয়ং আওরংজীর যখন যুবরাজ, তখন তিনিও বিফল হইয়াছিলেন। এ কাজ কেবল শিবাজীর পক্ষেই সম্ভব।