পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন : (t8 ব্যবধান রইলো শুধু ওয়ান ষ্টেপ! গো । গঙ্গাস্বান কোরে কালীঘাটে মা-কালীকে দর্শন কোরে বাসায় ফিরে এলাম। সবাই বললে, সতীশ তুমি ভাগ্যবান ! অফিসে গেলাম, সাহেব ডেকে পাঠিয়ে দু’মাসের মাইনে হাতে দিয়ে বললেন, গে। শুনলাম ইতিমধ্যে আমার অনেক খোজ তল্লাসিই হয়ে গেছে। হরেন্দ্র স্তব্ধ হইয়া রহিল। কিছুক্ষণ এই ভাবে থাকিয়া শেষে ধীরে ধীরে কহিল, তাহলে কি তোমার নিশ্চয় বোধ হয় যে রাজেন— সতীশ মিনতির স্বরে বলিল, আমাকে জিজ্ঞেসা করবেন না । সে আমার বন্ধু ! . হরেন খুলী হইলনা, কহিল, আমারও ত সে ভাইয়ের মতো । সতীশ কহিল, একটা কথা ভেবে দেখবার যে তারা আমাকে বিনা দোষে লাঞ্ছনা করেছে লত্যি, কিন্তু ছেড়েও দিয়েছে। হরেন বলিল, বিনা দোষে লাঞ্ছনা করাটাও তো আইন নয়। যারা তা’ পারে, তারা এ-ই বা পারবেনা কেন ? এই বলিয়া সে তখনকার মত কলেজে চলিয়া গেল, কিন্তু মনের মধ্যে তাহার ভারি অশান্তি লাগিয়া রহিল। শুধু কেবল রাজেনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়াই নয়, দেশের কাজে দেশের ছেলেদের মানুষের মত মানুষ করিয়া তুলিতে এই যে সে আয়োজন করিয়াছে, পাছে, তাহা অকারণে নষ্ট হইয়া যায়। হরেন স্থির করিল, ব্যাপারটা সত্যই হোক, বা মিথ্যাই হোক, পুলিশের চক্ষু অকারণে আশ্রমের প্রতি আকর্ষণ করিয়া আনা কোন মতেই সমীচীন নয়। বিশেষতঃ, সে যখন স্পেষ্টই এখানকার নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া চলিতেছে, তখন কোথাও চাকুরি করিয়া দিয়া হোক, বা যে কোন অজুহাতে হোক তাহাকে অন্যত্র সরাইয়া দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। ইহার দিনকয়েক পরেই মুসলমানদের কি একটা পর্বোপলক্ষে