পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন 는 8이 হইল, কহিলেন, কিন্তু একেবারে তোমরা চলে যেওনা, ডাকৃলে যেন পাই । আচ্ছা। চল ঠাকুরপো আমরা পাশের ঘরে গিয়ে বসিগে। এই বলিয়া সে সকলকে লইয়া চলিয়া গেল । নীলিমার কথাগুলি স্বভাবতঃই মধুর, বলিবার ভঙ্গীটিতে এমন একটি বিশিষ্টতা আছে যে সহজেই চোখে পড়ে, কিন্তু তাহার আজিকার এই গুটি কয়েক কথা যেন তাহাদেরও ছাড়াইয়া গেল। হরেন্দ্র লক্ষ্য করিলনা, কিন্তু লক্ষ্য করিল কমল । পুরুষের চক্ষে যাহা এড়াইল ধরা পড়িল রমণীর দৃষ্টিতে। নীলিমা শুশ্রুষা করিতে আসিয়াছে, এই পীড়িত লোকটির স্বাস্থ্যের প্রতি সাবধানতায় আশ্চর্য্যের কিছু নাই সাধারণের কাছে এ কথা বলাচলে, কিন্তু সেই সাধারণের একজন কমল নয়। নীলিমার এই একান্ত-সতর্কতার অপরূপ স্নিগ্ধতায় সে যেন এক অভাবিত বিস্ময়ের সাক্ষাৎ লাভ করিল। বিস্ময় কেবল এক দিক দিয়া নয়, বিস্ময় বহু দিক দিয়া । সম্পদের মোহ এই বিধবা মেয়েটিকে মুগ্ধ করিয়াছে এমন সন্দেহ কমল চিন্তায়ও ঠাই দিতে পারিলনা ! নীলিমার ততটুকু পরিচয় সে পাইয়াছে। আশুবাবুর যৌবন ও রূপের প্রশ্ন এ ক্ষেত্রে শুধু অসঙ্গত নয়, হাস্যকর। তবে, কোথায় যে ইহার সন্ধান মিলিবে ইহাই কমল মনের মধ্যে খুজিতে লাগিল। এ ছাড়া আরও একটা দিক আছে যে। সে দিক আশুবাবুর নিজের। এই সরল ও সদাশিব মানুষটির গভীর চিত্ততলে পত্নীপ্রেমের যে আদর্শ সুচঞ্চল নিষ্ঠায় নিত্য পূজিত হইঠেছে, কোন দিনের কোন প্রলোভনই তাহার গায়ে দাগ ফেলিতে পারে নাই। ইহাই ছিল সকলের একান্ত বিশ্বাস। মনোরমার জননীর মৃত্যুকালে আগুবাবুর বয়স বেশি ছিলনা, —তখনও যৌবন অতিক্রম করে নাই, কিন্তু সেইদিন হইতেই সেই