পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిరినా" * শেষ প্রশ্ন যখন ডাক পড়েছে, আনন্দের সঙ্গে যোগ দিয়েছি, আবার সে-বিবাহ যখন অনাদরে-উপেক্ষায় অনাচারে-অত্যাচারে ভেঙেছে তখনও চোখ মুছেচি। তুমি গেলেও ঠিক এমনি দেখতে পেতে । কমল মুখ তুলিয়া বলিল, না গিয়েও দেখতে পাই আগুবাবু। ভাঙার নজির সেদেশে প্রত্যহ পুঞ্জিত হয়ে উঠ চে,—উঠক্সরই কথা— এও যেমন সত্যি, ওর থেকে তার স্বরূপ বুঝতে যাওয়াও তেমনি ভুল। ওটা বিচারের পদ্ধতিই নয় আশুবাবু। আণ্ডবাবু নিজের ভ্রম বুঝিয়া কিছু অপ্রতিভ হইলেন, এমন করিয়া ইহার সহিত তর্ক চলেনা ; বলিলেন, সে যাক, কিন্তু আমাদের-এই দেশটার পানে একবার ভালো কোরে চেয়ে দেখো দিকি, যে-প্রথা আবহমানকাল ধরে চলে আস্চে তার স্বষ্টিকৰ্ত্তাদের দূরদর্শিতা । এখানে দায়িত্ব পাত্র-পাত্রীদের পরে নেই, আছে বাপ মা গুরুজনদের পরে। তাই বিচার-বুদ্ধি এখানে আকুল-অসংযমে ঘুলিয়ে ওঠেন, একটা শান্ত অবিচলিত মঙ্গল তাদের চির-জীবনের ਸੰਗੇ হয়ে যায় । কমল কহিল, কিন্তু মণি তো মঙ্গলের হিসেব করতে বসেনি, আগুবাবু, সে চেয়েছে ভালোবাসা। একটার হিসেব গুরুজনের স্বযুক্তি দিয়ে মেলে, কিন্তু অন্যটার হিসেব হৃদয়ের দেবতা ছাড়া আর কেউ জানেনা । কিন্তু তর্ক ক’রে আপনাকে আমি মিথ্যে উত্ত্যক্ত করটি ; যার ঘরে পশ্চিমের জানালা ছাড়া আর সকল দিকই বন্ধ, সে স্বৰ্য্যের প্রত্যুষের আবির্ভাকদেখতে পায়না, দেখতে পায়ু শুধু তার. প্রদোষের অবসান। কিন্তু সেই চেহারা আর রঙের সাদৃশু মিলিয়ে তর্ক করতে থাকূলে শুধু কথাই বাড়বে, মীমাংসায় পৌঁছুবেনা। অামার কুিন্তু রাত হয়ে যাচ্চে, আজ আসি। * নীলিমা বরাবর চুপ করিয়াই ছিল, এত ক্ষণের এত কথার মধ্যে