পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন ' Wobrý সখের ফ্যাশান গেলো দু’দিনে মিলিয়ে। ভয় ছিল•আমার হরেনবাবুর উচ্চ অভিলাষ যায় বা বুঝি এমনি কোরেই ফাকা হয়ে । কিন্তু আর’ ভয় নেই, উনি সামূলেছেন। এই বলিয়া সে হাসিল । དའི་གཅུ༔ এ হাসিতে হরেন্দ্র যোগ দিতে পারিলনা, গম্ভীর হইয়া রহিল। কাজটা সে করিয়াছে সত্য, কিন্তু অন্তরে ঠিক মত আজও সায় পায়না, মনের মধ্যেটা রহিয়া-রহিয়া ভারী হইয়া উঠে। কহিল, মুস্কিল এই যে, তুমি ভগবান মানোন, মুক্তিতেও বিশ্বাস করোনা। কিন্তু যারা তোমার ওই অজ্ঞেয় বস্তুর সাধনায় রত, ওর তত্ত্ব নিরূপণে ব্যগ্র, তাদের কঠিন নিয়ম ও কঠোর আচার পালনের মধ্যে দিয়ে পা নু ফেললেই নয় । আশ্রম তুলে দেওয়ায় আমি অহঙ্কার কারনে ; সেদিন যখন ছেলেদের নিয়ে সতীশ চলে গেলো আমি নিজের দুর্বলতাই জুনুভব করেছি। তাহলে ভাল করেননি হরেনবাবু। বাবা বলতেন, যাদের ভগবান যত সূক্ষ্ম, যত জটিল, তারাই মরে তত বেশী জড়িয়ে । যাদের যত স্কুল, যত সহজ, তারাই থাকে কিনারার কাছে। এ যেন লোকসানের কারবার। ব্যবসা হয় যতই বিস্তৃত ও ব্যাপক, ক্ষতির প্ররিমাণ ততই চলে বেড়ে । তাকে গুটিয়ে ছোট ক’রে আনলেও লাভ হয়না বটে, কিন্তু লোকসানের মাত্রা কমে । হরেনবাবু, আপনার স্বাতীশের সঙ্গে আমি কথা কয়ে দেখেছি। আশ্রমে বহুবিধ প্রাচীন নিয়মের তিনি প্রবর্তন করেছিলেন, তার সাধ ছিল সে-যুগে ফিরে যাওয়া । ভাবতেন, দ্বনিয়ার বয়স থেকে হাজার দুই বুছর ছে ফেললেই আসবে পরম লাভ'। এমনি লাভের ফন্দি এটেছিল একদিন বিলেতের পিউরিটান একদল। ভেবেছিল, আমেরিকায় পালিয়ে গিয়ে সতেরো শতাব্দী ঘুচিয়ে দিয়ে নির্বাটে গড়ে তুলবে বাইবেলের সত্য-যুগ। তাদের, লাভের হিসেবের অঙ্ক জানে আজ অনেকে, জানেন,শুধু মঠ-ধারীর দল