পাতা:শেষ লীলা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
দারােগার দপ্তর, ৭৮ম সংখ্যা।

হন নাই এবং আমার বিশ্বাস যে, আপনারা বিধিমত চেষ্টা করিলেও সেই গহনার কোনরূপ সন্ধান করিয়া উঠিতে পারিতেন না। কেবল আমিই আমার সর্ব্বনাশ সাধন করিয়াছি, আমিই আমার নিজের পায় সবলে কুঠারাঘাত করিয়াছি। যদি আপনারা সেইরূপ কৌশলজালে আমাকে নিপাতিত না করিয়া, আমার নিকট হইতে সেই সকল অলঙ্কারগুলি বাহির করিয়া লইতে সমর্থ না হইতেন, তাহা হইলে আপনারা আমার কিছুই করিয়া উঠিতে পারিতেন না; পূর্ব্বে যেরূপ অসংখ্য হত্যা করিয়া, অসংখ্য স্ত্রীলোকের সর্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া, বিনা-দণ্ডে নিষ্কৃতি লাভ করিয়াছিলাম, এ যাত্রাও আমি সেইরূপ ভাবে আপন জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হইতাম; আপনারা বিধিমতে চেষ্টা করিয়াও, আমার মস্তকের এক গাছি কেশও উৎপাটিত করিতে সমর্থ হইতেন না। যে পর্য্যন্ত আমি আপন মুখ খুলি নাই, সেই পর্য্যন্ত প্রিয়ও কোন কথা বলে নাই; এবং সহজে সে কোন কথা প্রকাশও করিত না। প্রিয় মনে মনে জানিত, আমি রাজকুমারীর যে সকল অলঙ্কার অপহরণ করিয়াছিলাম, সেই সকল অলঙ্কার আমি একাকী কখনই গ্রহণ করিব না। তুল্যাংশ না হউক, সে যে উহার কোন না কোন অংশ প্রাপ্ত হইত, তাহার আর কিছুমাত্র সন্দেহ ছিল না। বিশেষতঃ রাজকুমারীকে হত্যার নিমিত্ত আমিও যেরূপ দোষে দোষী, তাহার অপরাধও আমার সেই দোষ অপেক্ষা কোন অংশে ন্যূন নহে। সে বেশ জানিত, এই কথা তাহার মুখ দিয়া প্রকাশ পাইলে, আমার দশা এবং তাহার দশা সমানই হইবে, তখন সে কোনরূপেই এই সকল কথা আপনাদিগের নিকট প্রকাশ করিত না। কিন্তু যখন সে দেখিল যে, আমি সমস্ত গুহ্য কথা প্রকাশ করিয়া ফেলিলাম, তখন সে বুঝিল