পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সপ্তক

কুয়ােতলার কাছে
সামান্য ওই আমের গাছ;
সারা বছর ও থাকে আত্মবিস্মৃত;
বনের সাধারণ সবুজের আবরণে
ও থাকে ঢাকা।
এমন সময় মাঘের শেষে
হঠাৎ মাটির নীচে
শিকড়ে শিকড়ে তার শিহর লাগে,
শাখায় শাখায় মুকুলিত হয়ে ওঠে বাণী
‘আমি আছি'।
চন্দ্রসূর্যের আলাে আপন ভাষায়
স্বীকার করে তার সেই ভাষা।

অলস মনের শিয়রে দাঁড়িয়ে
হাসেন অন্তর্যামী;
হঠাৎ দেন ঠেকিয়ে সােনার কাঠি
প্রিয়ার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টি দিয়ে,
কবির গানের সুর দিয়ে-
তখন যে-আমি ধূলিধূসর সামান্য দিনগুলির মধ্যে মিলিয়ে ছিল
সে দেখা দেয় এক নিমেষের অসামান্য আলােকে।
সে-সব দুমূল্য নিমেষ
কোনাে রত্নভাণ্ডারে থেকে যায় কি না জানি নে;

১২৯