পাতা:শেষ সপ্তক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ সপ্তক

নামটা রয়েছে যে পরিচয়টুকু নিয়ে
টুকরাে-জোড়া-দেওয়া তার রূপ,
অনাবিষ্কৃতের-প্রান্ত-থেকে-সংগ্রহ-করা।

চার দিকে ব্যর্থ ও সার্থক কামনার
আলােয় ছায়ায় বিকীর্ণ আকাশ।
সেখান থেকে নানা বেদনার রঙিন ছায়া নামে
চিত্তভূমিতে;
হাওয়ায় লাগে শীত-বসন্তের ছোঁওয়া-
সেই অদৃশ্যের চঞ্চল লীলা
কার কাছেই বা স্পষ্ট হল।
ভাষার অঞ্জলিতে
কে ধরতে পারে তাকে।
জীবনভূমির এক প্রান্ত দৃঢ় হয়েছে
কর্মবৈচিত্রের বন্ধুরতায়,
আর-এক প্রান্তে অচরিতার্থ সাধনা
বাষ্প হয়ে মেঘায়িত হল শূন্যে,
মরীচিকা হয়ে আঁকছে ছবি।
এই ব্যক্তিজগৎ মানবলােকে দেখা দিল
জন্মমৃত্যুর সংকীর্ণ সংগমস্থলে।
তার আলােকহীন প্রদেশে
বৃহৎ অগােচরতায় পুঞ্জিত আছে-

৩৭