পাতা:শৈশব সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগ্নতরী । 33> ত্যজিয়া আহার পান সারা রাত্রি দিনমান স্বরেশ করিছে তার সেবা, তুষার্ত অধরে তার ঢালিছে সলিল ধার, ব্যজন করিছে রাত্রি দিবা । নিশীথে সে রুগ্ন-ঘরে, একটি শিলার পরে দীপ-শিখা নিভ’নিভ’ বায়ে, জ্যোতি অতি ক্ষীণতর, দু পা হয়ে অগ্রসর, অন্ধকারে যেতেছে হারায়ে । আকুল নয়ন মেলি, কাতর নিশ্বাস ফেলি, একটিও কথা না কহিয়া, শিয়রের সন্নিধানে সুরেশ সে মুখ পানে একদৃষ্ট্রে রহিত চাহিয়া । বিকারে ললিতা যত—বকিত পাগল মত, ছট ফট করিত শয়নে – ততই সুরেশ ছিয়া—উঠিত গো ব্যাকুলিয়া, অশ্রুধারা পূরিত নয়নে । যখনি চেতনা পেয়ে – ললিত উঠিত চেয়ে, দেখিত সে শিয়রের কাছে মান-মুখ করি নত—নিস্তব্ধ ছবির মত সুরেশ নীরবে বসি আছে । )\9