পাতা:শ্যামলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ওদিকে, অসীম যিনি তিনি স্বয়ং করেছেন। সাধনা মানুষের সীমানায়, তাকেই বলে “আমি” ৷ সেই আমির গহনে আলো-আঁধারের ঘটল সংগম, দেখা দিল রূপ, জেগে উঠল। রস । “ন’ কখন ফুটে উঠে হল ‘হঁ’, মায়ার মন্ত্রে, রেখায় রঙে সুখে দুঃখে । একে বোলো না তত্ত্ব ; আমার মন হয়েছে পুলকিত বিশ্ব-আমির রচনার আসরে হাতে নিয়ে তুলি, পাত্রে নিয়ে রঙ পণ্ডিত বলছেনবুড়ো চন্দ্ৰটা, নিষ্ঠুর চতুর হাসি তার, মৃত্যুদূতের মতো গুড়ি মেরে আসছে সে পৃথিবীর পাজরের কাছে। একদিন দেবে চরম টান তার সাগরে পর্বতে ; মর্তলোকে মহাকালের নূতন খাতায় পাতা জুড়ে নামবে একটা শূন্য, গিলে ফেলবে দিনরাতের জমা খরচ ; মানুষের কীর্তি হারাবে অমরতার ভান, তার ইতিহাসে লেপে দেবে। অনন্ত রাত্রির কালি ।