পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Aviv y M. আজ যদি একটা কথা বলচে তে শুনিই না । না হয় নাই গেলাম শ্মশানে । এই না ? আমি হাসিয়া ফেলিলাম । পিয়ারীও হাসিয়া কহিল, হবেই ত । ছেলেবেলায় একবার যাকে ভালবাসা যায়, তাকে কি কখনো ভোলা যায় । সে একটা অনুরোধ করলে কেউ কখনো কি পায়ে ঠেলে যেতে পারে? এমন নিষ্ঠুর সংসারে আর কে আছে! চল, একটু বসি গে, অনেক কথা আছে। রতন, বাবুর বুটটা খুলে দিয়ে যা রে । হাসচ যে ? হাসচি, কি করে তোমরা মানুষ ভুলিয়ে বশ করো, তাই দেখে পিয়ারীও হাসিল ; কহিল, তাই বৈ কি ! পারকে কথায় ভুলিয়ে বিশ করা যায় ; কিন্তু জ্ঞান হওয়া পর্যন্ত নিজেই যার বশ হয়ে আছি, তাকেও কি কথায় ভুলানো যায় ? আচ্ছা, আজই না হয় কথা কইচি ; কিন্তু প্ৰত্যহ কঁাটায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যখন বঁইচির মালা গেথে দিতুম, তখন কটা কথা কয়েছিলুম শুনি ? সে কি তোমাব মারের ভয়ে নাকি ? মনেও ক’রে না। সে মেয়ে বাজলক্ষ্মী নয়। কিন্তু ছিঃ ! আমাকে তুমি একেবারেই ভুলে গিয়েছিলে-দেখে চিনতেও পারো নি! বলিয়া হাসিয়া মাথা নাড়িতেই তাহার দুই কানের হীরাগুলো পৰ্যন্ত দুলিয়া উঠিল । আমি বলিলাম, তোমাকে মনেই বা কবে করেছিলুম যে, ভুলে যাবো না ? বরং আজ চিনতে পেরেচি দেখে, নিজেই আশ্চৰ্য হয়ে গেছি। আচ্ছা, বারোটা বাজে-চললুম। পিয়ারীর হাসিমুখ এক নিমেষেই একেবারে বিবৰ্ণ মান হইয়া গেল। একটুখানি স্থির থাকিয়া কহিল, ভূত-প্ৰেত না মানো, সাপ-খোপ, বাঘ-ভালুক, বুনো শূয়ার এগুলোকে ত বনে-জঙ্গলে অন্ধকার রাত্রে মানা 5 | আমি বলিলাম, এগুলোকে আমি মেনে থাকি এবং যথেষ্ট সতর্ক হয়েও of আমাকে যাইতে উদ্ভত দেখিয়া ধীরে ধীরে কহিল, তুমি যে ধাতের মানুষ, তাতে তোমাকে যে আটকাতে পারব না। সে ভয় আমার খুবই