পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এগারো পিয়ারীর কাছে যে সত্য করিয়াছিলাম, তাহা যে রক্ষাও করিয়াছিলাম, বাটী ফিরিয়া এই সংবাদ জানাইয়া তাহাকে চিঠি দিলাম। অবিলম্বে BBD BDB SS DD BBBS BDBD DDBB SDY DBBDDDDS S DBDBu tuB BBD DB D DBDB BDD DuDBS BDDuD ST পীড়াপীডি ত করেই নাই, সামান্য একটা মুখের নিমন্ত্রণ পর্যন্ত জানায় নাই এই পত্রের মধ্যেও তাহার লেশমাত্র ইঙ্গিত ছিল না। শুধু নীচেব দিকে একটা ‘নিবেদন' ছিল, যাহা আমি আজিও ভুলি নাই । সুখের দিনে না হোক, দুঃখের দিনে তাহাকে বিস্মৃত না হই-এই প্ৰাৰ্থন । দিন কাটিতে লাগিল। পিয়ারীর স্মৃতি ঝাপসা হইয়া প্ৰায় বিলীন হইয়া গেল । কিন্তু এই একটা আশ্চৰ্য ব্যাপার মাঝে মাঝে আমার চোখে পড়িতে লাগিল-এবার শিকার হইতে ফিরিয়া পৰ্যন্ত আমার মন যেন কেমন বিমনা হইয়া গেছে ; কেমন যেন একটা অভাবের বেদন চাপা। সন্দির মত দেহের রন্ধে-রান্ধে পরিব্যাপ্ত হইয়া গেছে । বিছানায় শুইতে গেলেই তাহা খচখচ করিয়া বাজে। এটা মনে পড়ে, সে দিনটা হোলির রাত্ৰি। মাথা হইতে তখনও আবিরের গুড়া সাবান দিয়া ঘষিয়া তুলিয়া ফেলা হয় নাই । ক্লান্ত বিবশ দেহে শয্যার উপর পড়িয়া ছিলাম। পাশের জানােলাটা খোলা ছিল ; তাই দিয়া সুমুখের অশ্বখ গাছের ফ্যাক দিয়া আকাশ-ভরা জ্যোৎস্নার দিকে চাহিয়া ছিলাম। এতটাই মনে পড়ে। কিন্তু কেন যে দোর খুলিয়া সোজা স্টেশনে চলিয়া গেলাম এবং পাটনার টিকিট কিনিয়া ট্রেনে চড়িয়া বসিলাম, তাহা মনে পড়ে না। রাত্রিটা গেল। কিন্তু দিনের বেলা যখন শুনিলাম, সেটা “ৰাড়’ স্টেশন এবং পাটনার আর দেৱী নাই-তখন হঠাৎ সেইখানেই নামিয়া পড়িলাম। পকেটে হাত দিয়া দেখি উদ্বেগের কিছুমাত্ৰ হেতু নাই, দু'আনি আর পয়সাতে দশটা পয়সা তখনও আছে। খুশি হইয়া a-X AV SIN)