পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বিরাট শক্তি। আর মনে হয়, সেদিন আমারই মত আর দুটি অক্ষম, দুর্বল হাতের উপর এতবড় গুরুভারটা চাপাইয়া না দিয়া, যদি সমস্ত জগদব্ৰহ্মাণ্ডের ভারবাহী সেই দুটি হাতেব উপরেই আমার সেদিনের সেই অখণ্ড বিশ্বাসের সমস্ত বোঝা সঁপিয়া দিতে শিখিতাম, তবে আজ আর আমার ভাবনা কি ছিল ? কিন্তু, যাক সে-কথা। DDBB gDuB BBB BD SY S DBBDD S S DD SDu জবাব আসিল অনেক দিন পরে। আমার অসুস্থ দেহের জন্য উদ্বেগ প্ৰকাশ করিয়া, অতঃপর সংসারী হইবার জন্য সে আমাকে কয়েকটা মোটা বকমের উপদেশ দিয়াছে, এবং সংক্ষিপ্ত পত্ৰ শেষ করিয়াছে এই বলিয়া যে, সে কাজের ঝঞ্চাটে সময়মত পত্ৰাদি লিখিতে না পারিলেও আমি যেন মাঝে মাঝে নিজের সংবাদ দিই, এবং তাহাকে আপনার লোক মনে করি। তথাস্তু ! এত দিন পরে সেই রাজলক্ষ্মীব এই চিঠি । আকাশ-কুসুম আকাশেই শুকাইয়া গেল, এবং যে দুই-একটা শুকনো পাপড়ি বাতাসে ঝবিয়া পড়িল, তাহাদের কুড়াইয়া ঘবে তুলিবার জন্যও মাটি হাতড়াইয়া ফিবিলাম না। চোখ দিয়া যদি বা দু’ এক ফোটা জল পড়িয়া থাকে ত, হয়ত পড়িয়াছে, কিন্তু সে-কথা আমার মনে নাই। তবে, এ কথা মনে আছে যে, দিনগুলা আর স্বপ্ন দিয়া কাটিতে চাহিল না। তবুও এমনি ভাবে আরও পাঁচ-ছয় মাস কাটিয়া গেল । একদিন সকালে বাহিরে যাইবার উপক্ৰম করিতেছি, হঠাৎ একখানা অদ্ভুত পত্ৰ আসিয়া উপস্থিত হইল। উপরে মেয়েলী কঁাচ অক্ষরে আমার নাম ও ঠিকানা। খুলিতেই পত্রের ভিতর হইতে একখানি ছোট পত্ৰঠক করিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল। তুলিয়া লইয়া তাহার অক্ষর এবং নাম-সইর পানে চাহিয়া সহসা নিজের চোখ দুটাকেই যেন বিশ্বাস করিতে পারিলাম না । আমার যে মা দশ বৎসর পূর্বে দেহত্যাগ করিয়াছেন, ইহা তঁহারই শ্ৰীহস্তের লেখা । নাম-সই তাহারই । পড়িয়া দেখিলাম, মা তঁহার ‘গঙ্গাজলে’কে যেমন করিয়া অভয় দিতে হয়, তা দিয়াছেন । ব্যাপারটা সম্ভবতঃ এই যে, বছর বারো-তেরো পূর্বে এই ‘গঙ্গাজলে’র যখন অনেক বয়সে একটি কন্যারত্ন জন্মগ্ৰহণ কবে, তখন তিনি দুঃখ দৈন্য এবং দুশ্চিন্তা জানাইয়া মাকে বোধ করি