পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांस्g জানিতাম না। সেই পৌঁছান খবর ছাড়া আমিও আর চিঠি লিখি নাই, সেও তাহার জবাব দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় পত্র লিখে নাই । বোধ করি, চিঠি-পত্রের ভিতর দিয়াও উভয়ের মধ্যে একটা যোগসূত্র থাকে, এ তার অভিপ্ৰায় ছিল না। অন্ততঃ, তাহার সেই একটা চিঠি হইতে আমি এইরূপই বুঝিয়াছিলাম। তবুও আশ্চৰ্য এই যে, পবেবি মেয়ের জন্য ভিক্ষার ছলে একদিন যথার্থই পাটনায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম । বাটীতে প্ৰবেশ করিয়া নীচের বসিবার ঘরে বারান্দায় দেখিলাম, দুজন উদ্দীপবা দরওয়ান বসিয়া আছে। তাহারা হঠাৎ একটা শ্ৰীহীন অপরিচিত আগন্তুক দেখিয়া এমন করিয়া চাহিয়া বহিল যে, আমার সোজা উপরে উঠিয়া যাইতে সঙ্কোচ বোধ হইল। ইহাদের পূর্বে দেখি নাই। পিয়ারীর সাবেক বুড়া দরওয়ানজীর পরিবর্তে কেন যে তাহার এমন দু’জন বাহারে দারওয়ানের আবশ্যক হইয়া উঠিল, তাহা ভাবিয়া পাইলাম না । যাই হোক, ইহাদের অগ্ৰাহা করিয়া উপরে উঠিয়া যাইব, কিংবা সবিনয়ে অনুমতি প্ৰাৰ্থনা করিব, স্থির কবিতে না করিতে দেখি, রতন ব্যস্ত হইয়া নীচে নামিয়া আসিতেছে। অকস্মাৎ আমাকে দেখিয়া সে প্ৰথমে অবাক হইয়া গেল। পরে পায়ের কাছে টিপ করিয়া একটা প্ৰণাম করিয়া বলিল, কখন এলেন ? এখানে দাড়িয়ে যে ? এইমাত্র আসচি, রতন । খবর সব ভাল ? রতন ঘাড় নাড়িয়া বলিল, সব ভাল বাবু। ওপরে যান-আমি বরফ কিনে নিয়ে এখনি আসচি, বলিয়া যাইতে উদ্যত হইল। তোমার মনিব ঠাকরুণ উপরেই আছেন ? আছেন, বলিয়াই সে দ্রুতবেগে বাহির হইয়া গেল । উপরে উঠিয়া ঠিক পাশেব ঘরটাই বসিবার ঘর। ভিতর হইতে একটা উচ্চ হাসির শব্দ এবং অনেকগুলি লোকের গলা কানে গেল। একটু বিস্মিত হইলাম। কিন্তু পরীক্ষণে দ্বারের সম্মুখে আসিয়া অবাক হইয়া গেলাম। আগের বারে এ ঘরটার ব্যবহার হইতে দেখি নাই। নানাপ্রকার আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার প্রভৃতি অনেক জিনিস একটা কোণে গাদা করিয়া রাখা থাকিত, বড় কেহ এঘরে আসিত না । আজ