পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ δ প্রথমটা পাব না কেন ? অনাবশ্যক ব’লে । আচ্ছা, দ্বিতীয়টা শুনি । আমি বর্ময় যাচিছ । হয়ত আর কখনো দেখা হবে না । অন্ততঃ অনেকদিন যে দেখা হবে না, সে নিশ্চয় । যাবার আগে একবার দেখতে এলুম। রতন ঘরে ঢুকিয়া বলিল, বাবু, আপনাব বিছানা তৈরি হয়েছে, আসুন । খুশি হইয়া কহিলাম, চল। পিয়াবীকে বলিলাম, আমার ভারি ঘুম পাচ্চে। ঘণ্টাখানেক পরে যদি সময়,পাণ্ড ত একবার নীচে এসো-আমার আবও কথা আছে, বলিয়া রতনের সঙ্গে বাহির হইয়া গেলাম। পিয়ারীর নিজের শোবার ঘরে আনিয়া রতন যখন আমাকে শয্যা দেখাইয়া দিল, তখন বিস্ময়ের আর অবধি রইল না । বলিলাম, আমার বিছানা নীচের ঘরে না করে এ ঘরে করা হল কেন ? বতন আশ্চৰ্য হইয়া কহিল, নীচেব ঘরে ? আমি বলিলাম, সেই রকমই তে কথা ছিল ! সে অবাক হইয়া ক্ষণকাল আমার পানে চাহিয়া থাকিয়া শেষে বলিল, আপনার বিছানা হবে নীচের ঘরে ? আপনি কি যে তামাশা করেন বাবু। বলিয়া হাসিয়া চলিয়া যাইতেছিল-আমি ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমার মনিব শোবেন কোথায় ? রতন কহিল, বন্ধুবাবুর ঘরে তঁর বিছানা ঠিক করে দিয়েছি। কাছে আসিয়া দেখিলাম, এ সেই রাজলক্ষ্মীর দেড় হাত চওড়া তক্তপোয্যের উপর বিছানা পাতা হয় নাই। একটা মস্ত খাটের উপর মস্ত পুরু গদি পাতিয়া রাজশয্যা প্ৰস্তুত হইয়াছে। শিয়রের কাছে একটা ছোট টেবিলের উপর সেজের মধ্যে বাতি জ্বলিতেছে। একাধারে কয়েকখানি বাংলা বই, অন্যধারে একটা বাটির মধ্যে কতকগুলি বেলফুল । চোখ চাহিবামাত্র টের পাইলাম, এর কোনটাই ভূত্যের হাতে তৈরি হয় নাই।--যে বড় ভালবাসে, এসব তাহারই স্বহস্তে-প্ৰস্তুত। উপরের চাদরখানি পৰ্যন্ত যে রাজলক্ষ্মী নিজের