পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

每博 Se একদিন অজ্ঞাতসারে খসিয়া পড়িবে। কিন্তু যাহাকে উপলক্ষ্য করিয়া টগরের এই বিদ্বেষ, ডাক্তারবাবুর এমন কুৎসিত তীব্ৰ কটাক্ষ-সে কে, এবং কি ? টগব কহিয়াছিল, এই কাজ করিয়া সে নিজে চুল পাকাইয়াছে, তাহার চক্ষে ধূলি দিবে, এমন মেয়েমানুষ আছে কোথায় ? ডাক্তারবাবু মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, এই কাণ্ড নিত্য দেখিয়া তার চোখে দিব্যদৃষ্টি আসিয়াছে ;-আজি ভুল করিলে এমন চোখ তিনি উপড়িাইয়া ফেলিতে রাজী আছেন । এমনিই বটে। অপবকে বিচার কবিতে বসিয়া কোন মানুষকেই কখনো বলিতে শুনি নাই, সে অন্তৰ্যামী নয়, কিংবা তাহার। ভ্ৰম-প্ৰমাদ কখনো হয়। সবাই কহে, মানুষ চিনিতে তাহার জোড়া নাই এবং এ বিষয়ে সে একটি পাকা জহুরী। অথচ সংসাবে কে কবে যে নিজের মনটাকেই চিনিতে পারিয়াছে, তাহাই তা জানি না। তবে আমার মত যে কেহ কখনও কঠিন ঘা খাইয়াছে, তাহাকে সাবধান হইতেই হয়। সংসারে অন্নদাদিদিও যখন থাকে, তখন বুদ্ধির অহঙ্কারে পরকে মন্দ ভাবিয়া বুদ্ধিমান হওয়াব চেয়ে, ভাল ভাবিয়া নিৰ্বোধ হওয়াতেই যে মোটের উপর বুদ্ধির দামটা বেশিই পাওয়া যায়, সে কথা তাহাকে মনে মনে স্বীকার করিতেই হয়। তাই এই দুটি পরম বিজ্ঞ নরনারীর উপদেশ অভ্রান্ত বলিয়া অসঙ্কোচে গ্ৰহণ কবিতে পারিলাম না। কিন্তু ডাক্তারবাবু বলিয়াছিলেন, অত্যন্ত forward, তা বটে। এই কথাটাই শুধু আমাকে থাকিয়া থাকিয়া খোচা দিতে লাগিল। অনেক রাত্রে আবার ডাক পড়িল। এইবার এই স্ত্রীলোকটির পরিচয় পাইলাম। নাম শুনিলাম, অভয়া । উত্তররাঢ়ী কায়স্থ, বাড়ি বালুচরের কাছে। যে ব্যক্তি পীড়িত হইয়া পড়িয়াছে, সে গ্রাম-সম্পর্কে ভাষ্টি হয়। নাম রোহিণী সিংহ । ঔষধে রোহিণীবাবুর যথেষ্ট উপকার হইয়াছে এই বলিয়া আরম্ভ কবিয়া অভয়া অল্প সময়ের মধ্যেই আমাকে আত্মীয় করিয়া লইল । অথচ স্বীকার করিতেই হইবে যে, আমার মনের মধ্যে অনিচ্ছা সত্বেও একটা কঠোর সমালোচনার ভাবই বরাবর জাগ্রত ছিল। তথাপি এই গ্রীলোকটির