পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\9 শ্ৰীকান্ত তখন প্লেগের ভয়ে বৰ্মা গভৰ্ণমেণ্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চড়ায় কঁাটা-তারেব বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈরী করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নিবিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশদিন বাস কবার পর তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়। তবে যদি কাহারও কোন vaNifirħis wetzgcg Qtar segr cpi Port Health Officer-lag fi Krsts zëave কোন কৌশলে ছাড়পত্র যোগাড় করিতে পাবে, তাহা হইলে অবশ্য उधॉब्लां कथों । ডাক্তারবাবু আমাকে তঁাহাব ঘবের মধ্যে ডাকয়া লইয়া বলিলেন, শ্ৰীকান্তবাবু একখানা চিঠি যোগাড় না। কবে আপনার আসা উচিত হয নাই ; Quarantine-এ নিয়ে যেতে এর মানুষকে এত কষ্ট দেয় যে, কসাইখানার গরু-ছাগল-ভেড়াকেও এত কষ্ট সইতে হয় না। তবে ছোটলোকেরা কোন রকমে সইতে পারে! শুধু ভদ্রলোকদেরই মর্মান্তিক ব্যাপার। একে ত মুটে নেই, নিজের সমস্ত জিনিস নিজে কাধে করে একটা সরু সিড়ি দিয়ে নামাতে ওঠাতে হয়,-ততদূরে বয়ে নিয়ে যেতে হয ; তব পরে সমস্ত জিনিসপত্র সেখানে খুলে ছড়িয়ে স্টমে ফুটিয়ে লণ্ডভণ্ড করে ফেলো-মশাই, এই রোদেব মধ্যে কষ্টের আর অবধি থাকে না । অত্যন্ত ভীত হইয়া বলিলাম, এব। কি কোন প্ৰতিকার নেই, ডাক্তারবাবু? তিনি ঘােড় নাড়িয়া বলিলেন, না। তবে ডাক্তারসাহেব জাহাজে উঠলে একবার আপনার জন্য বলে দেখব, তার কেরাণীবাবুট যদি আপনার ভার নিতে রাজী-কিন্তু কথাটা তার ভাল করিয়া শেষ না হইতেই বাহিরে এমন একটা কাণ্ড ঘটিল, যাহা স্মৰণ হইলে আজও লজ্জায় মরিয়া যাই। একটা গোলমাল শুনিয়া দুইজনেই ঘরের বাহিরে আসিয়া দেখি, জাহাজের সেকেণ্ড অফিসাব ছয়-সাত জন খালাসীকে এলোপাথাড়ি লাথি মারিতেছে, এবং বুটের আঘাতের চোটে যে যেখানে পারিতেছে পলায়ন করিতেছে। এই ইংরাজ যুবকটি অত্যন্ত উদ্ধত বলিয়া বোধ করি ডাক্তারবাবুর সহিত ইতিপূর্বে কোনদিন বাচসা হইয়া থাকিবে,