পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A শ্ৰীকান্ত বলা উচিত নয়। কিন্তু আপনি যখন আমার আত্মীয়ের সামিল, তখন বলতে লজ্জা নেই যে, সে একটা নষ্ট স্ত্রীলোক । তাই ত মনের ঘেন্নায় দেশত্যাগী হলাম । নইলে সাধা ক’রে কি কেউ কখনো এমন দেশ পা দিয়ে মাড়ায় ? আপনিই বলুন না-এ কি সোজা মনের ঘেন্না। জবাব দিব কি, লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হইয়া গেল ! গোড়া হইতেই এ ঘোর মিথ্যাবাদীটার একটা কথাও বিশ্বাস করি নাই ; কিন্তু এখন নিঃসংশয়ে বুঝিলাম, এ যেমন নীচ, তেমনি নিষ্ঠুব । অভয়ার আমি কিছুই জানি না। কিন্তু তবুও শপথ করিয়া বলিতে পাবি-যে, অপবাদ স্বামী হইয়া এই পাষণ্ড নিঃসঙ্কোচে দিলা-পর হইয়াও আমি তাহা উচ্চারণ করিতে পারি না। কিছুক্ষণ পরে মুখ তুলিয়া বলিলাম, তার এই অপরাধেব কথা। আপনি আসবার সময় তা ব’লে আসেন নি । এখানে এসেও কিছুদিন যখন চিঠিপত্র এবং টাকাকড়ি পাঠিয়েছিলেন, তখনও তা লিখে জানাননি ? মহাপাপিষ্ঠ স্বচ্ছন্দে তাহাব বিরাট স্কুল ওষ্ঠাধর হাস্যে বিশ্বফারিত করিয়া বলিল,-এই নিন কথা ! জানেন ত মশাই, আমরা ভদ্রলোক, শুধু চুপি চুপি সহ্য করতেই পারি।-ছোটলোকের মত নিজের স্ত্রীর কলঙ্ক ত আর ঢাক পিটিয়ে প্রচার কবতে পারিনে। থাক গে, সে-সব দুঃখের কথা । ছেড়ে দিন মশাই-এ সব মেয়েমানুষের নাম মুখে আনলেও পাপ হয়। তাহ’লে কেন্সটা ত আপনিই ডিসপোজ করবেন ? যাক, বাঁচা গেল ; কিন্তু তাও বলে রাখচি, সাহেব ব্যাটাকে আমনি-অমনি ছাড়া হবে না । বেশ এমন একটু দিয়ে দিতে হবে, বাছাধন যাতে আর কখনো আমার পেছনে না লাগেন। আমারও মুকবির জোর আছে, এটা যেন তিনি মনে বোঝেন। বুঝলেন না ? আচ্ছা, আমি বলি, হারামজাদাকে হেড-অফিসে @न छान वाझ ना ? अभि द्विब्ांश्, न ! লোকটা হাসির ছটায় ফাইলটা একটু সম্মুখে ঠেলিয়া দিয়া বলিল, নিন, তামাসা রাখুন। বড় সাহেব একেবারে আপনার মুঠোর মধ্যে, সে খবর কি আমি না নিয়েই এসেছি। ভাবেন ? তা মরুক গে, আর একবার