পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s বিস্ময়ে অবাক হইয়া বলিল, বিলক্ষণ ।। যতদিন চোখে দেখিনি ততদিন কোনরকমে না হয় ছিলাম ; কিন্তু চোখে দেখে আর কি চোখের আড়াল করতে পারি? একলা এত দূরে এত কষ্ট সয়ে সে যে শুধু আমার জন্যেই এসেচে ! একবার ভেবে দেখুন দেখি ব্যাপারটা ! জিজ্ঞাসা করিলাম, তাকে কি একসঙ্গে রাখবেন ? আঙ্গে না । এখন প্রোমের পোস্টমাস্টার মহাশয়ের ওখানেই রাখব। ষ্ঠার স্ত্রীর কাছে বেশ থাকবে। কিন্তু শুধু দুদিন--আর না। তাব জন্যেই একটা বাসা ঠিক ক’রে ঘরেব লক্ষ্মীকে ঘরে নিয়ে যাবো । অভয়ার স্বামী প্ৰস্থান করিলে, আমিও আমার দিনের কাজে মন দিবার জন্য সুমুখের ফাইলটা টানিয়া লইলাম । নীচেই অভয়াব সেই লেখাটুকু পুনরায় চোখে পড়িল। তার পরে কতবার যে সেই দুই ছত্ৰ পড়িয়াছি এবং আরও কতবার যে পড়িলাম, তাহা বলিতে পারি না। পিয়ন বলিতেছিল, বাবুজী, আপনার বাসায় কি আজ কাগজপত্র কিছু দিয়ে আসতে হবে ? চমকিয়া মুখ তুলিয়া দেখিলাম, কখন সুমুখের ঘড়িতে সাড়ে চাবটা বাজিয়া গেছে, এবং কেরাণীব দল দিনের কর্ম সমাপন করি যা যে যাহার বাড়ী প্ৰস্থান কবিয়াছে । 司硕 আবার অভয়ার স্বামীব পত্ৰ পাইলাম। পূর্ববৎ সমস্ত চিঠিময় কৃতজ্ঞতা ছড়াইয়া দিয়া, এবার সে যে কি সঙ্কটে পডিযাছে, তাহাই সসম্রামে ও সবিস্তারে নিবেদন করিয়া, আমার উপদেশ প্ৰাৰ্থনা করিয়াছে। ব্যাপারটা সংক্ষেপে এই যে, তাহার সাধ্যে বা অতিরিক্ত হওয়া সত্ত্বেও, সে একটা বড বাড়ি ভাড়া লইয়াছে, এবং তাহাব একদিকে তাহার বর্মী স্ত্রীপুত্ৰকে আনিয়া, অন্যদিকে অভয়াকে আনিবার জন্য প্ৰত্যহ সাধ্য-সাধনা করিতেছে ; কিন্তু কোনমতেই তাহাকে সম্মত করিতে পারিতেছে না। সহধর্মিণীর এই প্ৰকার অবাধ্যতায় সে অতিশয় মর্মপীড়া অনুভব করিতেছে। ইহা