পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve Šryfv সুরেই তাহার যেন বুক ফাটিয়া যাইতেছে এবং কোনমতে সে হাত তুলিয়া তাহার চোখ মুছাইয়া সাম্ভনা দিবার চেষ্টা করিতেছে। লোকটা টানিয়া টানিয়া ফু পাইয়া ফাঁপাইয়া বলিতে লাগিল-মোটে পাঁচশো টাকা তামাক কিনতে দিলি,--আর যে তোর কিছু নেই।--পেট ভরল না।--অমনি তোর বাড়িটাও বিক্রি করিয়ে নিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে যেতে পারতাম, তবে তা বুঝতাম। একটা দাও মারা গেল। এ যে কিছুই ਝਸ ਜ ( ! ਵਿਕੋ ਕ ਜ | আশেপাশের লোকগুলো অবরুদ্ধ হান্সে ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতে লাগিল ; কিন্তু যাহাকে লইয়া এত আমোদ, তাহার চক্ষু-কর্ণ তখন দুঃখের বাম্পে একেবারে সমাচ্ছন্ন ! মনে হইতে লাগিল, বুঝি বেদনার ভারে ভাঙ্গিয়া পড়ে বা । খালাসীরা উপর হইতে ডাকিয়া কহিল, বাবু, সিড়ি তোলা হচ্ছে । লোকটা গলা ছাড়িয়া দিয়া তৎক্ষণাৎ সিড়ি পর্যন্ত গিয়াই আবার ফিরিয়া আসিল । মেয়েটির হাতে সাবেক কালের একটি ভাল চুনির আংটি ছিল, সেইটির উপর হাত বা খিয়া কঁাদিতে কঁাদিতে কহিল, ওরে, দে রে, আংটিটাও বাগিয়ে নিয়ে যাই । যেমন করে হোক দু’শ-আড়াইশ টাকা দাম হবে-এটাই বা ছাড়ি কেন । মেয়েটি তাড়াতাড়ি সেটি খুলিয়া প্ৰিয়তমের আঙ্গুলে পরাইয়া দিল । যথা লাভ ! বলিয়া লোকটা কঁাদিতে কঁাদিতে দ্রুতপদে সিড়ি দিয়া উপরে গিয়া উঠিল। জাহাজ জেট ছাড়িয়া ধীরে ধীরে দূরে সরিয়া যাইতে লাগিল, এবং মেয়েটি মুখে আঁচল চাপা দিয়া হাঁটু গাড়িয়া সেইখানেই বসিয়া পড়িল । অনেকেই দাত বাহিব করিয়া হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল। কেহ বা কহিল, আচ্ছা ছেলে ! কেহ বা বলিল, বাহাদুর ছোকবা ! অনেকেই বলিতে বলিতে গেল, কি মজাটাই করলে ! হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা ধ’রে গেল। এমনি কত কি মন্তব্য। শুধু আমি কেবল সেই সকলের হাসি-তামাসার পাত্রী বোকা মেয়েটার অপরিসীম দুঃখের নিঃশব্দ সাক্ষীর भाऊ खुश्कटांव द्धिांब्रा ब्रश्लिाभ । ছোট বোনটি চোখ মুছিতে মুছিতে পাশে দাড়াইয়া দিদির হাত ধরিয়া