পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) Hð শ্ৰীকান্তু লইয়া আমার হাতে দিয়া কহিল, আমার তোরঙ্গের মধ্যে তিন শ গিনি আছে-আমার স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেবেন। ঠিকানা আমার বাক্স খুজলেই

  • igवन्म ।

আমার একটা সাহস ছিল, পাশেব মেসটা। তাহদের সাড়া-শব্দ, চাপা কণ্ঠস্বর প্রায়ই শুনিতে পাইতেছিলামু। সন্ধ্যার পর একবার তাহাদের একটু বেশি রকম নড়াচড়ার গোলমাল আমার কানে আসিয়া পৌছিল ; কিছুক্ষণ পরেই যেন মনে হইল, তাহারা দরজায় তালা বন্ধ করিয়া কোথায় যাইতেছে । বাহিবে আসিয়া দেখিলাম, তাই বটে-সত্যই দ্বারে তালা বুলিতেছে। বুঝলাম, তাহারা বাহিরে বেড়াইতে বাহির হইয়া গেল, কিছুক্ষণ পরেই ফিরিয়া আসিবে। কিন্তু তবুও কেমন মনটা আরও খারাপ হইয়া গেল । এদিকে আমার ঘরের লোকটি উত্তরোত্তর যে-সকল কাণ্ড করিতে লাগিলেন, সে সম্বন্ধে একমাত্ৰ বলিতে পারি, তাহা রাত্রে একাকী বািসয়া উপভোগ করিবার বস্তু নয়। ওদিকে রাত্ৰি বারোটা বাজিতে চলিল, কিন্তু পাশের ঘর খোলার সাড়াও পাই না, শব্দও পাই না । মাঝে মাঝে বাহিরে আসিয়া দেখি, তালা তেমনি ঝুলিতেছে। হঠাৎ চোখে পড়িয়া গেল যে, কাঠের দেওয়ালের একটা ফুটা দিয়া ও-ঘরের তীব্র আলো এ-ঘরে আসিতেছে। কৌতুহলবশে সেই ছিদ্রপথে চোখ দিয়া তীব্ৰ আলোকোব যে হেতুটা দেখিলাম, তাহাতে সর্বাঙ্গের রক্ত হিম হইয়া গেল । সুমুখের খাটের উপরে দুইজন যুবা পাশাপাশি বালিশে মাথা দিয়া নিদ্রা দিতেছে, আর শিয়রে খাটের বাজুর উপর একসার মোমবাতি জ্বলিয়া জ্বলিয়া প্ৰায় শেষ হইয়া আসিয়াছে। আমি পূর্বেই জানিতাম, রোমান ক্যাথোলিকরা মৃতের শিয়রে আলো জালিয়া দেয় । সুতরাং এ দুজনের ঘুম যে হাজার ডাকাডাকিতেও আর ভাঙিবে না, এবং এমন হৃষ্টপুষ্ট সবলকায় লোক দুটির এত অসময়ে ঘুমাইয়া পড়িবার হেতুটা যে কি, সমস্তই একমুহুর্তে বুঝিতে পারিলাম। এ-ঘরেও আমাদের মনোহর বাবু প্ৰায় আরও ঘন্টা-দুই ছটফট করিয়া তবে ঘুমাইলেন। যাক, বঁচা গেল । कांख्रि (२)-•