পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šकांख्छ SS গেল। খুলিয়া দেখিলাম, পিয়ারীর চিঠি। বর্ময় আসার পরে এই তাহার পত্র । আমাকে জবাব না দিলেও, আমি কখনো একখনো তাহাকে চিঠি লিখিতাম । আসিবার সময় এই সর্তই সে আমাকে স্বীকার করাইয়া লইয়াছিল। পত্রের প্রথমে সে ইহারই উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছে, আমি মরিলে তুমি খবর পাইবে। বঁচিয়া থাকার মধ্যে আমার এমন সংবাদই থাকিতে পারে না, যাহা তোমার না জানিলেই নয়, কিন্তু আমার তা তা নয় ! আমাৰ সমস্ত প্ৰাণটা যে ঐ বিদেশেই সারাদিন পড়িয়া থাকে, সে কথা এত বড় সত্য যে, তুমিও বিশ্বাস না করিয়া থাকিতে পার নাই। তাই জবাব না পাওয়া সত্ত্বেও মাঝে মাঝে চিঠি দিয়া তোমাকে বলিতে হয় যে, তুমি ভাল আছে। আমি এই মাসের মধ্যেই বন্ধুব বিবাহ দিতে চাই। তুমি মত দাও । পরিবার প্রতিপালন করিবার ক্ষমতা না জন্মিলে যে বিবাহ হওয়া উচিত নয়, তোমার একথা আমি অস্বীকার করি না। বন্ধুর সে ক্ষমতা হয় নাই ; তথাপি কেন যে তোমাব সম্মতি চাহিতেছি, সে আমাকে আর একবার চোখে না দেখিলে তুমি বুঝিবে না। যেমন করিয়া পারে, এস। আমার भांथांद्र दिJ द्रशिक्ष् । পত্রের শেষের দিকে অভয়ার কথা ছিল । অভয়া যখন ফিরিয়া আসিয়া কহিয়াছিল, সে যাহাকে ভালবাসে, তাহারাষ্ট ঘর করিতে একটা পশুকে ত্যাগ করিয়া আসিয়াছে এবং এই লইয়া সামাজিক রীতিনীতি সম্বন্ধে স্পর্ধার সহিত তর্ক করিয়াছিল, সেদিন আমি এমনই বিচলিত হইয়া পড়িয়াছিলাম যে, পিয়ারীকে অনেক কথাই লিখিয়া ফেলিয়াছিলাম । আজ তাহারই প্ৰত্যুত্তরে সে লিখিয়াছে, তোমার মুখে যদি তিনি আমার নাম শুনিয়া থাকেন তা আমার অনুরোধে একবার দেখা করিয়া বলিও যে, রাজলক্ষ্মী তাহাকে সহস্ৰ কোটি নমস্কার জানাইয়াছে । তিনি বয়সে আমার ছোট কি বড়, জানি না, জানার আবশ্যকও নাই , তিনি সুদ্ধমাত্র তার তেজ দ্বারাই আমাদের মত সামান্য রমণীরা প্ৰণম্য। আজ আমার গুরুদেবের শ্ৰীমুখের কথাগুলি বার বার মনে পড়িতেছে। আমার কাশীর বাড়িতে দীক্ষার সমস্ত আয়োজন হইয়া গেছে, গুরুদেব আসন গ্ৰহণ করিয়া