পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R শ্ৰীকান্তু একটা অদম্য সম্পূহ নিঃশব্দে দমন করিয়া ফেলিলাম, তাহ অন্তৰ্যামী ছাড়া আর কেহ জানিল না। কিন্তু দীর্ঘশ্বাসটা তাহাকে লুকাইতে পারিলাম না। সে বিস্মিতের মত ক্ষণকাল আমার পানে চাহিয়া থাকিয়া পুনরায় হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি রকম দেখাচ্ছে আমাকে, ৰোগা ? সহসা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিলাম না । রোগা ? হা, রোগ একটু বটে, কিন্তু সে কিছুই নয়। মনে হইল, সে যেন কত দেশ-দেশান্তর পায়ে হঁটিয়া তীর্থ-পৰ্যটন করিয়া, এইমাত্র ফবিয়া আসিল-এমনি ক্লান্ত, এমনি পরিশ্রান্ত । নিজের ভার নিজে বহিবার তাহাব আর শক্তিও নাই, প্ৰবৃত্তিও নাই । এখন কেবল নিশ্চিন্ত নিৰ্ভয় চোখ বুজিয়া ঘুমাইবার একটু জায়গা অন্বেষণ করিতেছে । আমাকে নিরুত্তর দেখিয়া কহিল, কৈ বললে না যে ? কহিলাম, নাই শুনলে । বাজলক্ষ্মী ছেলেমানুষের মত মাথায় একটা ঝাকুনি দিয়া কহিল, না, বল। লোকে যে বলে আমি একেবারে বিশ্রী দেখতে হয়ে গেছি। সত্যি ? আমি গম্ভীর হইয়া কহিলাম, স৬্যি। রাজলক্ষ্মী হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, তুমি মানুষকে এমনি অপ্ৰতিভ ক’রে দাও যে-আচ্ছা বেশ ত । ভালই তা! শ্ৰী নিয়ে আমার কি-ই বা হবে । তোমার সঙ্গে আমার সুশ্রী-বিশ্রী দেখা-দেখির তা সম্পর্ক নয় যে, সেজন্যে আমাকে ভেবে মরতে হবে । আমি বলিলাম, সে ঠিক, ভেবে মরবার কিছুমাত্ৰ হেতু নেই। কারণ, একে তা লোকে ও-কথা তোমাকে বলে না, তা ছাড়া বললেও তুমি বিশ্বাস DDD K SS LBD DB YL EYS রাজলক্ষ্মী রাগ করিয়া বলিয়া উঠিল, তুমি অন্তৰ্যামী। কিনা, তাই সকলের মনের কথা জেনে নিয়েছ। আমি কখখনো ওকথা ভাবিনে। তুমি নিজেই সত্যি ক’রে বল ত, সেই শিকার করতে গিয়ে আমাকে যেমন দেখেছিলে, তেমনি কি এখনো দেখতে আছি না কি ? তার চেয়ে কত কুস্থিত হয়ে গেছি। আমি কহিলাম, না, বরঞ্চ তার চেয়ে ভাল দেখতে হয়েচ ।