পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांड àRr চুপ করিয়া রহিলাম। এ কথা লইয়া উত্তর-প্রত্যুত্তর করিতে প্ৰবৃত্তি । इदैव्यः न । রাত্রে রাজলক্ষ্মী কহিল, বন্ধুর বিয়ের ত এখনও দশ-বার দিন দেৱী আছে ; চল, কাশীতে তোমাকে আমার গুরুদেবকে দেখিয়ে নিয়ে আসি । হাসিবা বলিলাম, আমি কি একটা দেখবাব জিনিস ? বাজলক্ষ্মী কহিল, সে বিচাবের ভার যারা দেখে তাদেব, তোমার নয়। কহিলাম, তাও যদি হয, কিন্তু এতে আমারই বা লাভ কি, তোমাৰ গুরুদেবেন্ধই বা লাভ কি ? রাজলক্ষ্মী গম্ভী { হইয়া বলিল, লাভ তোমাদের নয়, লাভ আমার । না হয় শুধু আমার জন্যেই চল । সুতরাং সম্মত হইলাম। সম্মুখে একটা দীর্ঘকালব্যাপী অকাল থাকায এই সময়টাষ চারিদিকে ধেন বিবাহেব বন্যা নামিয়াছিল। যখন তখন ব্যাণ্ডের কর্নেট এবং ব্যাগ-পাইপোব বঁাশী বিবিধ প্রকার বাদ্যভাণ্ড সহযোগে মানুষকে পাগল কবিয়া তুলিবার যোগাড় করিতেছিল। আমাদের ষ্টেশন-যাত্রার পথেও এমনি কয়েকটা উন্মত্ত শব্দের ঝড় প্ৰচণ্ড বেগে বহিয়া গেল। তেজটা একটি কমিয়া আসিলে রাজলক্ষ্মী সহসা প্রশ্ন করিল, আচ্ছা, তোমার মতেই যদি সবাই চলে, তা হলে ত গরীবদের আর বিয়ে করাও হয় না, ঘরসংসার করাও চলে না ? তা হলে সৃষ্টি থাকে কি করে ? তাহার অসামান্য গাম্ভীৰ্য দেখিয়া হাসিয়া ফেলিলাম । বলিলাম, সৃষ্টি রক্ষার জন্য তোমার কিছুমাত্র দুশ্চিন্তার অবশ্যক নেই। কারণ আমার মতে চলাবার লোক পৃথিবীতে আর বেশি নেই। অন্ততঃ আমাদের এ দেশে ত নেই বললেই চলে। রাজলক্ষ্মী কহিল, না থাকাই ত ভাল। বড়লোেকরাই শুধু মানুষ, আর গরীব ব’লে কি তারা সংসারে ভেসে এসেছে ? তাদের ছেলেপুলে নিয়ে ঘর-কান্নার সাধ-আহলাদ নেই ? কহিলাম, সাধ-আহলাদ থাকলেই যে তাকে প্রশ্ৰয় দিতে হবে, তার কি কোন অর্থ আছে ?