পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a चैकारू ছোট কাজ তুমি নিজেও কখনো কবতে পার না, অপরকেও করতে দিতে পারে না । একটুট থামিয়া কহিলাম, কিন্তু লোকে "ত মনসা পশুিতেব পাঠশালাব সেই বাজলক্ষ্মীটিকে চিনবে না, তাবা চিনবে শুধু পাটনাব প্ৰসিদ্ধ পিষারী বাঈজীকে । তখন সংসাবের চোখে আমি কত ছোট হযে, যাবো, সে কি তুমি দেখতে পােচ্ছ না ? সে তুমি কেমন ক’রে বাধা দেবে বল ত ? রাজলক্ষ্মী একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিল, কিন্তু তাকে ত সত্যিকারোহণ 6छाप्ने श्eशूi दावा क्रा । বলিলাম, ভগবানেব চক্ষে না হতে পারে, কিন্তু সংসারেব চক্ষুও তি উপেক্ষা করবার বস্তু নয়, লক্ষ্মী ! রাজলক্ষ্মী কহিল, কিন্তু তার চক্ষুকেই তা সকলের আগে মানা উচিত। কহিলাম, এক হিসেবে সে কথা সত্যি। কিন্তু তার চক্ষু ত সৰ্বদ দেখা যায় না। যে দৃষ্টি সংসাবের দশজনেব ভেতব দিয়ে প্ৰকাশ, সেও ত তারই চক্ষের দৃষ্টি রাজলক্ষ্মী। তাকেও ত অস্বীকার করা অন্যায় ! সেই ভয়ে আমাকে তুমি জন্মেব মত ত্যাগ ক’রে চলে যাবে ? কহিলাম, আবাব দেখা হবে। তুমি যেখানেই থাকো না কেন, বর্মী যাবার পূর্বে আমি আর একবার দেখা ক’রে যাবো । বাজলক্ষ্মী প্ৰবল বেগে মাথা নাড়িয়া অশ্রু-বিকৃত-কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, যাবে যাও । কিন্তু তুমি আমাকে যাই ভাবে না কেন, আমার চেয়ে আপনার লোক তোমার আর নেই। সেই আমাকেই ত্যাগ ক’রে যাওয়া দশের চক্ষে ধর্ম, এ কথা আমি কখনো মানব না-বলিয়া দ্রুতবেগে बद्ध छांख्रि फनिश (शंका । ঘড়ি খুলিয়া দেখিলাম, এখনো সময় আছে, এখনো হয় তা একটার ট্রেন ধরিতে পারি। নিঃশব্দে ব্যাগটা তুলিয়া লইয়া ধীরে ধীরে নামিয়া গিয়া গাড়িতে উঠিয়া বসিলাম । বকশিসের লোভে গাড়ি প্ৰাণপণে ছুটিয়া ষ্টেশনে পৌঁছাইয়া দিল । কিন্তু সেই মুহুর্তেই পশ্চিমের ট্রেন প্লাটফর্ম ছাড়িয়া বাহির হইয়া গেল। খবর লইয়া জানিলাম, আধঘণ্টা পরেই একটা ট্ৰেন কলিকাতা অভিমুখে