পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w শ্ৰীকান্ত কৈান ছলে ইহাতে আবার কখনো প্ৰবেশ করিব তাহার কল্পনা পৰ্যন্ত যখন মনে স্থান দিতে পারিলাম না, তখনই এই অস্বাস্থ্যকর সামান্য গ্রামখানি একেবারে সকল দিক দিয়া আমার চোখের উপর অসামান্য হইয়া দেখা দিল, এবং যে গৃহ হইতে এইমাত্র নির্বাসিত হইয়া আসিলাম, আমার সেই পিতৃ-পিতামহের জীর্ণ মলিন আবাসখানির প্রতি আজ যেন আর ८ब्लgिख्छन्न अदक्षि ब्रश्लि मा । রাজলক্ষ্মী নীরবে প্ৰবেশ করিয়া আমার সম্মুখের আসনটি গ্রহণ করিল, এবং বোধ হয় কদাচিৎ কোন পরিচিত পথিকের অশোভন কৌতুহল হইতে সম্পূর্ণ আত্মগোপন করিতেই গাড়ীর এক কোণে মাথা রাখিয়া দুই চক্ষু মুদ্রিত করিল। রোল-ষ্টেশনের উদেশে আমরা যখন যাত্ৰা করিলাম তখন সূৰ্য্যদেব বহুক্ষণ অস্ত গেছেন। আঁকা-বাঁকা গ্ৰাম্য পথের দুই ধারে যাদৃচ্ছিা বদ্ধিত বঁইচি শিয়াকুল এবং বেতবনে সঙ্কীর্ণ পথটিকে সঙ্কীণতর করিয়াছে, এবং মাথার উপর আম-কঁাটালের ঘন সারি শাখা মিলাইয়া স্থানে স্থানে সন্ধ্যার আঁধার যেন দুর্ভেদ্য করিয়া তুলিয়াছে। ইহার ভিতর দিয়া গাড়ী যখন অত্যন্ত সাবধানে অত্যন্ত মন্থর গমনে চলিতে লাগিল। আমি তখন দু'চক্ষু মেলিয়া সেই নিবিড় অন্ধকারের ভিতর দিয়া কত কি যেন দেখিতে লাগিলাম। মনে হইল। এই পথের উপর দিয়াই পিতামহ একদিন আমার পিতামহীকে বিবাহ করিয়া আনিয়াছিলেন, সেদিন এই পথই বরযাত্রীদের কোলাহল ও পায়ে পায়ে মুখরিত হইয়া উঠিয়াছিল। আবার একদিন যখন আঁর্তাহারা স্বৰ্গারোহণ করিয়াছিলেন, তখন এই পথ ধরিয়াই প্ৰতিবেশীরা তঁহাদের মৃতদেহ নদীতে বহিয়া লইয়া গিয়াছিল। এই পথের উপর দিয়াই মা আমার একদিন বন্ধুরূপে গৃহ-প্ৰবেশ করিয়াছিলেন, এবং আবার একদিন যখন তঁহার এই জীবনের সমাপ্তি ঘটিল, তখন ধুলাবালির এই অপ্ৰশস্ত পথের উপর দিয়াই আমরা তঁহাকে মা-গঙ্গায় বিসর্জন দিয়া ফিরিয়াছিলাম। তখনও এই পথ এমন নির্জন, এমন দুৰ্গম হইয়া যায় নাই, তখনও বোধ করি। ইহার বাতাসে বাতাসে এত ম্যালেরিয়া, জলাশয়ে জলাশয়ে এত পঙ্ক, এত বিষ জমা হইয় ওঠে নাই। তখনও দেশে অল্প