পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*博 够 রাজলক্ষ্মী প্ৰত্যুত্তরে কহিল, তুই কি শুনতে পাসনে রতন ? কালা’ হয়েছিস ? আর দ্বিরুক্তি না করিয়া রতন চলিয়া গেল । কারণ, ইহার পরেও তর্ক করিতে পারে, এমন প্ৰবল পক্ষ ত আমি কাহাকেও দেখি না । আর প্ৰয়োজনই বা কি ? রাজলক্ষ্মী মুখে স্বীকার না করিলেও আমি জানি রেলগাড়ীতে বা রেলের সম্পকিত কাহারও হাতে কিছু খাইতে তাহার প্ৰবৃত্তি হয় না । নিরর্থক কঠোর উপবাস করিতে ইহার জোড়া কোথাও দেখি নাই বলিলেও বোধ করি অত্যুক্তি হয় না। কতদিন কত জিনিস ইহার বাটীতে আসিতে দেখিয়াছি, দাসী চাকরে খাইয়াছে, দরিদ্র প্ৰতিবেশীর ঘরে বিতরিত হইয়াছে, পচিয়া নষ্ট হইয়া ফেলা গিয়াছে ; কিন্তু এসকল যাহাব জন্য সে মুখেও দিত না । জিজ্ঞাসা করিলে, তামাসা করিলে, হাসিয়া বলিত, ফ্ৰা, আমার আবার আচার ! আমার আবার খাওয়া-ছোয়ার বিচার ! আমি ত সব খাই । আচ্ছা, চোখের সামনে তার পরীক্ষা দাও । পরীক্ষা ! এখন ? ওরে বাস রে !! তা হ’লে আর বঁাচতে হবে ! এই বলিয়া সে না-বাচিবার কোন কারণ না দেখাইয়াই অত্যন্ত জরুরি গৃহ-কৰ্ম্মের অছিলায় অন্তহিত হইয়া যাইত। সে মাছ-মাংস দুধ-ঘি খায় DD D OODB DuDBDDD D B DSDSDBDB BuBuBB BBB TT অশোভন এত লজার যে ইহার উল্লেখেই সে যে লজ্জায় কোথায় পলাইবে খুজিয়া পাইত না । তাই সহজে আর খাওয়া লইয়া অনুরোধ করিতে আমার প্রবৃত্তি হইত না । রতন স্নান মুখে চলিয়া গেল, তখনও কথা কহিলাম না, খানিক পরে ঘটিতে গরম দুধ ও ঠোঙায় DDD BuDuDT DDD DBB DBDDBB BBDD BDB BT BB ii Du খাবার রাখিয়া রতনের হাতেই যখন সমস্তটা তুলিয়া দিল, তখনও কিছু বলিলাম না, এবং রতনের করুণ চক্ষের নীরব মিনতিও স্পষ্ট বুঝিয়া তেমনি নির্বাক রহিলাম। আজ কারণে অকারণে কথায় কথায় তাহার না-খাওয়াটাই আমাদের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে; কিন্তু একদিন ঠিক এরূপ ছিল না। তখন