পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬১

R 3AqrfVU অনুমান কোনটাতেই জানা যাবে না। তবে চোখে যা দেখেছি তাতে আরও দু-একটা দিন বোধ হয় যোগ করা যেতে পারে। রাজলক্ষ্মী প্ৰতিবাদ করিয়া কহিল, তুমি দেখেছ চোখে ? কখখনো না। ইহার আমিও জবাব দিলাম না, সাধুজীও আর কোন প্রশ্ন করিলেন না । বেলার দিকে লক্ষ্য করিয়া নীরবে ভোজন শেষ করিয়া গাত্ৰোখান করিলেন । রতন এবং সঙ্গে দুইজনের আহার সমাধা হইতে বেলা গেল। রাজলক্ষ্মী নিজের ব্যবস্থা কি করিল সেই জানে, আমরা গঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে যখন যাত্ৰা করিলাম তখন সন্ধ্যা হইয়া গেছে । ত্ৰয়োদশীর চাদ তখনও উজ্জল হইয়া ওঠে নাই, কিন্তু অন্ধকারও কোথাও কিছু ছিল না । মাল-বোঝাই গাড়ী দুইটা সকলের পিছনে, রাজলক্ষ্মীর গাড়ী মাঝখানে ও আমার গাড়ীটা ভাল বলিয়া সকলের অগ্ৰে । সাধুজীকে ডাকিয়া কহিলাম, ভায়া, হাঁটার ত আর কমতি নেই, আজকের মত না হয় আমার এটাতে পদার্পণ করা না ? সাধু কহিলেন, সঙ্গেই ত রইলেন, না পারলে না হয় উঠেই বসবোकिड qकहे इं।ि রাজলক্ষ্মী মুখ বাড়াইয়া বলিল, তা হ’লে আমার বডিগার্ড হয়ে চল। ঠাকুরপো, তোমার সঙ্গে দুটো কথা কইতে কইতে যাই । এই বলিয়া সে সাধুজীকে নিজেৰ গাড়ীর কাছে ডাকিয়া লইল। সম্মুখেই আমি। মাঝে মাঝে গাড়ী, গরু এবং গাড়োয়ানের সম্মিলিত উপদ্রবে। তঁহাদের আলাপের কিছু কিছু অংশ হইতে বঞ্চিত হইলেও অধিকাংশই শুনিতে শুনিতে গেলাম । রাজলক্ষ্মী কহিল, বাড়ী তোমার। এদিকে নয়, আমাদের দেশের দিকেই, সে তোমার কথা শুনেই বুঝতে পেরেছি, কিন্তু আজ কোথায় চলেছ সত্যি दव्ल ड उछाईये । সাধু কহিলেন, গোপালপুরে। রাজলক্ষ্মী জিজ্ঞাসা করিল, আমাদের গঙ্গামাটি থেকে সেটা কতদূর ? সাধু জবাব দিলেন, আপনার গঙ্গামাটিও জানি নে, আমার গোপালপুৱও চিনি নে, তবে সম্ভবতঃ ও'দুটাে কাছাকাছি হবে। অন্ততঃ তাই ত नवाभि ।