পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e শ্ৰীকান্ত SLD DDB K BB DDSS DBBDB D g DDDYBBDD SDDD যা দাড়াবে দিদি, বলিয়া তিনি একবার আমার ও একবার তঁহার দিদির মুখের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। দিদি কিন্তু এ উৎসাহে কিছুমাত্র যোগ দিলেন না। অপ্ৰসন্ন মুখে একটু হাসিয়া কহিলেন, রতন যা ত বাবা, ঘটিটা মেজে একটু জল নিয়ে আয়। রতনেব মেজাজের খবরটা ইতিপূর্বে দিয়াছি। তার উপর এই শীতের সকালে যখন কে-একটা অচেনা সাধুর জন্য কোথাকার একটা নিরুদেশ জলাশয় উদ্দেশ করিয়া জল আনিবার ভার পড়িল, তখন আর সে আত্মসংবরণ করিতে পারিল না। এক মুহূৰ্ত্তেই তাহার সমস্ত ক্ৰোধ গিয়া পড়িল তাহার চেয়েও ছোট, সেই হতভাগ্য বালকাঁটার উপর । তাহাকে সে একটা প্ৰচণ্ড ধমক দিয়া কহিয়া উঠিল, নচ্ছার পাজি ব্যাটা ! ঘটি চুলি কেন তুই ? চল হারামজাদা, ঘটি মেজে জলে ডুবিয়ে দিবি ! বলিয়া সে কেবল চোখমুখের ভঙ্গিতেই ছেলেটাকে যেন গলাধাক্কা দিয়া ঠেলিয়া লইয়া গেল। তাহার কাণ্ড দেখিয়া সাধু হাসিলেন, আমিও হাসিলাম। রাজলক্ষ্মী নিজেও একটু সলজ হাঁসি হাসিয়া কহিল, গ্রামটা যে তোলপাড় ক’রে তুললে আনন্দ । সাধুদের বুঝি রাত না পোহাতেই চা চাই। সাধু বলিলেন, গৃহীদের রাত পোহােয় নি বলে বুঝি আমাদের পোহাবে না । বেশ ত। কিন্তু দুধের জোগাড় যে করা চাই। আচ্ছা, বাড়ীটার মধ্যে ঢুকে দেখা যাক কাঠ-কুটাে, উনুন আছে কিনা। ওহে কৰ্ত্তা, চল দাদা কার ঘরে গরু আছে একটু দেখিয়ে দেবে। দিদি, কালকের সেই হঁাড়িটায় বারফি কিছু ছিল না ? না, গাড়ীর অন্ধকারে তাকে শেষ <gagछ्न्म । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া ফেলিল, পাড়ার যে দু-চার জন মেয়েরা দূরে দাড়াইয়া দেখিতেছিল, তাহারাও মুখ ফিরাইল । এমন সময় গোমস্ত কাশীরাম কুশারী মহাশয় হস্তদন্ত ভাবে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সঙ্গে তাহার তিন-চার জন লোক, কাহারো মাথায় বুড়িভরা শাক-সব্জি ও তরিতরকারী, কারো হাতে ঘটিভরা দুধ, কাহারে হাতে দধির ভাণ্ড, কাহারে হাতে একটা বৃহদায়তন রোহিত মৎস্য ।