পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9. মল্লিকা ফুলের ঝাড়-সবসুদ্ধ জায়গাটা দেখিয়া যেন তৃপ্তি বোধ झ्छेठन । সকলের চেয়ে উৎসাহ দেখা গেল সন্ন্যাসী-ভায়ার । যাহা কিছু আঁর্তাহার চোখে পড়িল, তাহাতেই উচ্চকণ্ঠে আনন্দ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন, যেন এমন আর কখনও দেখেন নাই। আমি কলরব না। তুলিলেও মনে-মনে খুশীই হইয়াছিলাম। রাজলক্ষ্মী তাহার ভাইয়ের জন্য রান্নাঘরে চা তৈরি করিতেছিল, অতএব মুখের ভাব তাহার চোখে দেখা গেল না বটে, কিন্তু মনের ভাব তাহার কাহারও কাছে অবিদিত ছিল না । কেবল দলে ভিড়িল H uB BBDB S BDB BiBB BD DD DBDDD BDB E uGDu DDD নিঃশব্দে বসিয়া রহিল। চা প্ৰস্তুত হইলে সাধুজী কল্যকার অবশিষ্ট মিষ্টান্নযোগে পেয়ালা দুই চা নিঃশব্দে পান করিয়া উঠিলেন এবং আমাকে কহিলেন, চলুন না, গ্রামখানা একবার দেখে আসা যাক। বাঁধটাও দূরে নয়, অমনি স্নানটাও সেরে আসা যাবে। দিদি, আসুন না জমিদারী পরিদর্শন ক’রে আসবেন। বোধ হয় ভদ্রলোক কেউ নেই-লজ করবার বিশেষ আবশ্যক হবে না । সম্পত্তিটি ভাল, দেখে লোভ হচ্ছে । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া কহিল, তা জানি । সন্ন্যাসীদের স্বভাবই ওই । আমাদের সঙ্গে পাচক ব্ৰাহ্মণ এবং আরও একজন চাকর আসিয়াছিল, তাহারা রন্ধনের আয়োজন করিতেছিল। রাজলক্ষ্মী কহিল, না মহারাজ, আমন টাটকা মাছের মুড়ে তোমাকে দিয়ে ভরসা হয় না, নেয়ে এসে রান্নাটা আমিই চড়িয়ে দেব। এই বলিয়া সে আমাদের সঙ্গে যাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিল । এতক্ষণ পৰ্য্যন্ত রতন কোন কথায় বা কাজে যোগদান করে নাই। আমরা বাহির হইতেছি, এমন সময়ে সে অত্যন্ত ধীর গম্ভীর স্বরে কহিল, মা, ঐ যে বঁধ না পুকুর কি একটা পোড়া দেশের লোকে বলে, ওতে যেন আপনি নামবেন না । ভয়ানক জোক আছে, এক একটা নাকি এক হাত করে। মুহুর্তে রাজলক্ষ্মীর মুখ ভয়ে পাণ্ডুর হইয়া গেলা-বলিস কি রতন, এদিকে বড় জোক নাকি ?