পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীকান্ত Vpb রতন ঘাড় নাড়িয়া কহিল, আজ্ঞে হাঁ, তাই তা শুনে এলুম। সাধু তাড়া দিয়া উঠিলেন, আজ্ঞে হাঁ শুনে এলে বৈ কি ! ব্যাটা নাপিতে ভেবে ভেবে আচ্ছা ফন্দি বার করেছে। ইহার মনের ভাব এবং জাতির পরিচয় সাধু পূৰ্ব্ববাহুেই সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন ; হাসিয়া কহিলেন, দিদি, ওরা কথা শুনবেন না, আসুন। জোক আছে কিনা সে পরীক্ষা না হয়। আমাদের দিয়েই হয়ে যাবে। তঁহার দিদি কিন্তু আর একপা অগ্রসর হইলেন না, জোকোব নামে একেবারে অচল হইয়া কহিলেন, আমি বলি আজ না হয় থাক আনন্দ । নতুন জায়গা, বেশ না জেনে-শুিনে অমন দুঃসাহস কবা ভাল হবে না । রতন তুই না হয় ওঠ বাবা, এইখানে দু-ঘড়া জল কুয়ো থেকে তুলে দে । আমাকে আদেশ হইল-তুমি রোগা মানুষ, তুমি যেন আর কোথাকার কোন জলে নেয়ে এস না । বাড়ীতেই দু-ঘটি জল মাথায় দিয়ে আজকের भङ निबख्श्e । সাধু হাসিয়া বলিলেন, আর আমিই কি এত অবহেলার দিদি, ষে আমাকেই কেবল সেই জোকের পুকুরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ? কথাটা বেশি কিছু না, কিন্তু এইটুকুতেই রাজলক্ষ্মীর দুই চক্ষু যেন হঠাৎ ছলছল করিয়া আসিল । সে ক্ষণকাল নীরবে স্নিগ্ধ দৃষ্টি দ্বারা তাহাকে যেন অভিষিক্ত করিয়া কহিল, তুমি যে ভাই মানুষের হাতের বাইবে । যে বাপ-মায়ের কথা শোনেনি, সে কি একটা কোথাকার অজানা-অচেনা বোনেরই কথা রাখবো ? সাধু প্ৰস্থান করিতে উদ্যত হইয়া সহসা একটু থামিয়া কহিলেন, এই অজানা-অচেনা কথাটি বলবেন না দিদি। আপনাদের সবাইকে চিনবো ব’লেই তা ঘর ছেড়ে আসা, নইলে আমার কি দরকার ছিল বলুন তা ? এই বলিয়া তিনি একটু দ্রুত পদেই বাহির হইয়া গেলেন, এবং আমিও निळू त्रिकू ॐांशज्ञ श्र् ब्रेष्ठांभ । দুইজনে এইবার বেশ করিয়া ঘুরিয়া ঘূরিয়া গ্রামখানিকে দেখিয়া লাইলাম। গ্রামখানি ছোট এবং আমরা যাহাঁদের ছোট জাত বলি তাহাদেরই। বত্তত, ঘর-দুই বারুদ্ধজীবী এবং একঘর কন্মকার ব্যতীত গঙ্গামাটিতে