পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

一に、汽。 ver সাধুজী বলিলেন, আমাদের মত যদি সৰ্ব্বত্র ঘুরে বেড়াতেন। দাদা, তা হ’লে বুঝতেন। আমি প্ৰায় সত্যি কথাটাই বলেছি। দুঃখটা বাস্তবিক কে BBLBD BB S DDD S DDDS DDB BB DBDDD DD BDD DD BBBDB রেখেছি ? বহুদিনের অবিশ্রাম চাপে একেবারে নিঙড়ে বার ক’রে দিয়েছি। এর বেশি চাওয়াকে এখন নিজেরাই এরা অন্যায় স্পৰ্দ্ধা বলে মনে করে । বাঃ রে বাঃ ! কি কলই না। আমাদের বাপ-পিতামহরা ভেবে ভেবে আবিষ্কার ক’রে গিয়েছিলেন । এই বলিযা সাধু নিতান্ত নিষ্ঠুরেব মতই হাঃ হাঃ করিয়া হাসিতে লাগিলেন । আমি কিন্তু সে হাসিতে যোগ দিতে পারিলাম না ; এবং তঁাহার কথাটারও ঠিক অর্থ গ্ৰহণ করিতে না পারিয়া মনে মনে লজ্জিত হইয়া উঠিলাম । এ বৎসর ফসল ভাল হয় নাই, জলের অভাবে হেমন্তের ধানটা প্ৰায় আট আনা রকম শুকাইয়া গিয়া ইতিমধ্যেই অভাবের হাওয়া বহিতে সুরু করিয়াছিল। সাধু কহিলেন, দাদা, যে ছলেই হোক ভগবান যখন আপনাকে আপনার প্রজাদের মধ্যে ঠেলে পাঠিয়েছেন, তখন হঠাৎ আর পালাবেন না, অন্ততঃ এ বছরটা কাটিয়ে যাবেন । বিশেষ কিছু যে করতে পারবেন, তা ভাবি নে, তবে চোখ দিয়েও প্ৰজার দুঃখের ভাগ নেওয়া ভাল, তাতে জমিদারী করার পাপের বোঝাটা কতক হাল্কা হয়। আমি মনে মনে কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া ভাবিলাম, জমিদার এবং প্ৰজা আমারই বটে ; কিন্তু পূর্বেও যেমন জবাব দিই নাই, এবারও তেমনি নীরব হইয়া রহিলাম । ক্ষুদ্র গ্রাম প্ৰদক্ষিণ করিয়া স্নান সারিয়া যখন ফিরিয়া আসিলাম, তখন বেলা বারোটা বাজিয়া গিয়াছে। কাল অপরাহুের মত আজও আমাদের উভয়কে খাইতে দিয়া রাজলক্ষ্মী একপাশে বসিল । সমস্ত বান্না সে নিজে রাধিয়াছে, সুতরাং মাছের মুড়া ও দধির সর সাধুর পাতেই পড়িল। সাধুজী বৈরাগী মানুষ, কিন্তু সাত্বিক এবং অসাত্বিক, নিরামিষ এবং আমিষ কিছুতেই তাহার কিছুমাত্র বিরাগ দেখা গেল না, বরঞ্চ এরূপ উদ্দাম অনুরাগের পরিচয় দিলেন যাহা ঘোর সাংসারিকের পক্ষেও দুল্লভ। রান্নার ভাল-মন্দের সমজদার ব্যক্তি - বলিয়াও যেমন আমার