পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@\3 Arty পৰ্যন্ত সে “তুমি বলিবার যোগ্য কাহাকেও পায় নাই ; কহিল, ডোমডোকালির আবার বিয়ে, তাদের আবার পুরুতে ; এ কি আমাদের বামুনকায়েত-নবশাক পেয়েছিস যে বিয়ে দিতে আসবে বামুনঠাকুর ? এই বলিয়া সে বারবার আমার ও রাজলক্ষ্মীর মুখের প্রতি সগৰ্বে চাহিতে লাগিল। এখানে মনে করাইয়া দেওয়া আবশ্যক যে রতন জাতিতে নাপিত । মধু ডোম নিজে আসিতে পাবে নাই, কন্যা সম্প্রদানে বসিয়াছে, কিন্তু BLBDB DBDB uDDDS BS DDDS DDDD S BDDBBD S DB DBuDD যদিচ বুঝা গেল। ইহাদের ব্ৰাহ্মণ নাই, নিজেরা নিজেদের পুরোহিত, তথাপি রাখাল পণ্ডিত তাহাদের ব্ৰাহ্মণেরই সামিল । কারণ, তাহার গলায় পৈতা আছে, এবং তাহদের দশ-কৰ্ম্ম করায় । এমন-কি সে তাহাদের ছোয়া জল পৰ্যন্ত খায় না । সুতরাং এত বড় সাত্ত্বিকতাব পরেও আর প্রতিবাদ চলে না। অতএব,* আসল ও খাটি ব্ৰাহ্মণের সহিত অতঃপর যদি কোন প্ৰভেদ থাকে। ত সে নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর } সে যাহা হোক, ইহাদের ব্যাকুলতায় ও অদূরে বিবাহ-বাটীর প্রবল চীৎকার শব্দে আমাকে যাইতে হইল। রাজলক্ষ্মীকে কহিলাম, তুমিও চল না, বাড়ীতে একলা কি করবে ? রাক্তলক্ষ্মী প্ৰথমে মাথা নাড়িল, কিন্তু শেষে কৌতুহল নিবারণ করিতে পারিল না, 'চল' বলিয়া আমার সঙ্গ লইল। আসিয়া দেখিলাম মধুর সম্বন্ধী অত্যুক্তি করে নাই। বিবাদ তুমুল হইয়া উঠিবার উপক্রম করিয়াছে। একদিকে বরপক্ষীয় প্ৰায় ত্ৰিশ-বত্ৰিশ জন এবং অন্যদিকে কন্যাপক্ষীয়ও প্ৰায় ততগুলি। মাঝখানে প্ৰবল ও স্থূলকায় শিবু পণ্ডিত দুর্বল ও ক্ষীণজীবী রাখাল পণ্ডিতের হাত চাপিয়া ধরিয়া আছে । আমাদের দেখিয়া সে ছাড়িয়া দিয়া সরিয়া দাড়াইল। আমরা সসম্মানে একটা মাদুরের উপর আসন গ্ৰহণ করিয়া শিবু পণ্ডিতকে এই অতর্কিত আক্রমণের হেতু জিজ্ঞাসা করায় সে কহিল, হুজুর, মন্তরের ম’ জানে না এই ব্যাটা, আবার নিজেকে বলে পণ্ডিত । বিবাহটিাই আজ ভেস্তে দিত । রাখাল মুখ ভাঙাইয়া প্ৰতিবাদ করিয়া বলিল, ই দিত। পাঁচখানা গাঁয়ে ছাদ, বিয়ে নিত্য দিচ্ছি, আর আমি জানিনে মন্তর । মনে ভাবিলাম