পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t 9o কয়র্তে পারলে না । কৰ্ত্তা ভেবে ভেবে আর আড়ালে কেঁদে কেঁদে যোনী কাঠ হয়ে উঠতে লাগলেন। ছেলেটা ছিল তার প্রাণ, আর ঠাকুরপোকে ভালবাসতেন ছেলের চেয়ে বেশি। আর সহ্য করতে না পেরে লোক দিয়ে ব’লে পাঠালেন, তঁাতিদের যাতে কষ্ট না হয়, তিনি করবেন ; কিন্তু সকবনাশী জবাব দিলে, যা তাদের ন্যায্য পাওনা সমস্ত মিটিয়ে দিলেই তবে ঘবে ফিরব । তার এক ছটাক কোথাও বাকি থাকতে যাবো না । অর্থাৎ তার মানে নিজেদের অবধারিত মৃত্যু। আমি গোলাসের জলে হাতখানা একবার ডুবাইয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, এখন তঁাদের কি ক’রে চলে ? কুশারীগৃহিণী কাতর হইয়া বলিলেন, এর জবাব আর আমাদের দিতে ব’ল না। বাবা। এ আলোচনা কেউ কবতে এলে আমি কানে আঙুল দিয়ে ছুটে পালিয়ে যাই-মনে হয় বুঝি বা আমাব দম বন্ধ হয়ে যাবে। এই আট মাস এ বাড়ীতে মাছ আসে না, দুধ-ঘিাঁর কড়া চড়ে না। সমস্ত বাড়ীটার ওপর সে যেন এক মন্মান্তিক অভিশাপ রেখে চলে গেছে। এই বলিয়া তিনি চুপ করিলেন, এবং বহুক্ষণ ধরিয়া তিনজনেই আমরা স্তব্ধ হইয়া নিঃশব্দে বসিয়া রহিলাম। ঘণ্ট-খানেক পরে আমরা আবার যখন গাড়ীতে গিয়া বসিলাম কুশারীগৃহিণী সজল কণ্ঠে রাজলক্ষ্মীর কানে কানে বলিলেন, মা, তারা তোমারই প্ৰজা। আমার শ্বশুরের দরুণ যে জমিটুকুর ওপর তাদের নিভাির, সেটুকু তোমার গঙ্গামাটিতেই। রাজলক্ষ্মী ঘাড় নাড়িয়া কহিল, আচ্ছা । গাড়ী ছাড়িয়া দিতে তিনি পুনশ্চ বলিয়া উঠিলেন, মা, তোমার বাড়ী থেকেই চোখে পড়ে। নালার এ-দিকে যে ভাঙা পোড়ে ঘরটা দেখা যায়, সেইটে। ब्रांख्रिणौ cड्षत्रिं बांथ नांछ्झिां खांबांद्देल, त्रांप्छा ! গাড়ী মন্থর গতিতে অগ্রসর হইল। অনেকক্ষণ পৰ্যন্ত আমি কোন কথাই কহিলাম না। চাহিয়া দেখিলাম রাজলক্ষ্মী অন্যমনস্ক হইয়া কি ভাবিতেছে। তাহার খান ভঙ্গ করিয়া’কহিলাম, লক্ষ্মী, ধার লোভ নেই,