পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩২

ଥିrrg RYWey ঝাপসা হইয়া গিয়াছে বলিয়াই যে অপরের গভীর বেদনাকে ও হা-হুতাশের দ্বারা প্ৰকাশ্যে লাঞ্ছিত করিয়া তুলিব, সেও আমি নই। তাই উচ্ছসিত দীর্ঘনিশ্বাস চাপিয়া লইয়া নিরুত্তরে উঠিয়া দাড়াইলাম। আমার দিনগুলা একভাবেই আরম্ভ হয়, একভাবেই শেষ হয়। আনন্দ নাই, বৈচিত্ৰ্য নাই, অথচ কোন দুঃখ-কষ্ট্রের নালিশ ও নাই। শব বা মোটের উপব ভালই আছে। পরদিন প্ৰভাত হইল, বেলা বাডিযা উঠিল, যথারীতি স্নানাহাব সমাপ্ত করিয়া নিজেব গৃহে বসিলাম। সুমুখেব সেই খোলা জানােলা এবং তেমনি বাধাহীন উন্মুক্ত শুষ্ক মাঠ পাঁজিতে আজ বোধ হয় বিশেষ কোন উপবাসেব বিধি ছিল , বাজলক্ষ্মীব ৩াষ্ট আজ সেইটুকু সময় অপব্যয় করিতে হইল না—যথাসময়েব কিছু পূৰ্ব্বেই সুনন্দার উদ্দেশে বাহির হইয়া গেল। অভাসমত বোধ ক! বা বস্তৃক্ষণ তেমনি চাহিয়াছিলাম, হঠাৎ স্মরণ হইল কালকাব অসমাপ্ত চিঠি ठू5ा আজ শেষ করিয়া বেলা তিনটার পূর্বেই ডাক-বাক্সে ফেলা চাই । অতএব ‘ আব্ব মিথ্যা কালহবণ না করিয়া অবিলম্বে তাঙ্গা৩েই নিযুক্ত হইলাম। চিঠি দুখানা সম্পূর্ণ করিয়া যখন পড়িতে লাগিলাম, তখন কোথায় যেন ব্যথা বাজিতে লাগিল, কি যেন একটা না লিখিলেই ভাল হইত ; অথচ নিতান্ত সাধারণ লেখা, তাহার কোথায় যে ত্রুটি বার <াব পড়িয়াও ধাপতে পারিলাম না । একটা কথা আমার মনে আছে। অভয়াব পৰে। বোহিণীদাদাকে নমস্কার জানাইয়া শেষের দিকে লিখিয়াছি, তোমাদেৰ অনেকদিন খবর পাই নাই। তােমরা কেমন আছ, কেমন কবিয়া তোমাদেব দিন কাটিতেছে, কেবলমাত্র কল্পনা করা ছাড়া জানিবার চেষ্টা করি নাই। হয়ত সুখেই আছ, হয়ত নাই, কিন্তু তোমাদের জীবনযাত্রার এই দিকটাকে সেই যে একদিন ভগবানের হাতে ফেলিয়া দিয়া স্বেচ্ছায় পৰ্দা টানিয়া দিয়াছিলাম, আজও সে তেমনি কুলানো আছে ; তাহাকে কোনদিন তুলিবার ইচ্ছা পৰ্যন্তও করি নাই। তোমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠত আমাৰ দীর্ঘকালের নয়, কিন্তু যে অত্যন্ত দুঃখের ভিতর দিয়া একদিন আমাদের পরিচয় আরম্ভ এবং আর একদিন সমাপ্ত হয়, তাহাকে সময়ের re fg মাপিবার চেষ্টা আমরা কেহই করি নাই। যেদিন নিদারুণ ৰোগাক্রান্ত ।