পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांढ् e 83 মৃত্যু-উৎসবের উদণ্ড মৃত্যু-লীলা সহ রময় চলিয়াছে-তেমনি সময়ে যখন আমি মৃত্যু-দূতের কঁধে চড়িয়া তাহার গৃহে গিয়া উপস্থিত হইলাম, তখন নুতনপাত ঘরকন্নার মোহ ত তাহাকে একটা মুহুৰ্ত্তও দ্বিধায় ফেলে নাই ! সে কথা ত শুধু আমার আখ্যায়িকার এই কয়টা লাইন পড়িয়াই বুঝা যাইবে না, কিন্তু, আমি তা জানি সে কি !! আরও অনেক বেশি আমি জানি । আমি জানি কিছুই অভয়ার কঠিন নয়-মৃত্যুা, সেও তাহার কাছে ছোটই । দেহের ক্ষুধা, যৌবনের পিপাসা- এইসব প্ৰাচীন ও মামুলি বুলি দিয়া সেই অভয়ার জবাব হয় না । পুথিবীতে কেবলমাত্র বাহিরের ঘটনাই পাশাপাশি লম্বা করিয়া সাজাইয়া সকল হৃদয়ের জল মাপা যায় না । কাজের জন্য পুরানো মনিবের কাছে দরখাস্ত করিয়াছি, ভরসা আছে আবেদন না-মঞ্জুর হইবে না। সুতরাং আবার আমাদের সাক্ষাৎ ঘটবে। ইতিমধ্যে দুই তরফেই অনেক অঘটন ঘটিয়াছে । তাহার ভাব ও সামান্য নয়, কিন্তু সে-ভার সে জমা করিয়াছে আপনার অসামান্য সরলতায় ও স্বেচ্ছায়, আর আমার জমিয়া উঠিয়াছে তেমনি অসাধারণ বলহীনতায় ও ইচ্চ-শক্তির অভাবে। কি জানি, ইহাদের রঙ ও চেহারা সেদিন মুখোমুখি কেমনতর দেখিতে হইবে । একাকী সমস্তদিন প্ৰাণ যখন ছাপাইয়া উঠিত, তখন, বেলা পড়িলে একটুখানি বেড়াইতে বাহির হইতাম । দিন পাঁচ-সাত হইতে ইহা একপ্রকার অভাসে দাডাইয়াছিল। ধূলাময় যে পথটা দিয়া একদিন আমরা গঙ্গামাটিতে আসিয়াছিলাম, সেই পথ ধরিয়া কোন কোন দিন, অনেকদূর পর্যন্ত চলিয়া যাইতাম। অন্যমনে আজও তেমনি চলিয়াছিলাম সহসা দেখিতে পাইলাম সম্মুখে লাল পাহাড় সৃষ্টি করিয়া কে একজন ঘোড়া ছুটিাইয়া আসিতেছে। সভয়ে রাস্তা ছাড়িয়া নামিয়া দাড়াইলাম । ঘোড়-সওয়ার কিছুদূর অগ্রসর হইয়া গিয়া ঘোড়া থামাইল ফিরিয়া আসিয়া আমার সম্মুখে দাড়াইয়া কহিল, আপনার নাম শ্ৰীকান্তবাবু না ? আমাকে চিনতে পারেন ? বলিলাম, নাম আমার তাই বটে, কিন্তু আপনাকে ত চিনতে পারলাম 研